প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অনিয়ম এবং বিদ্যালয়ের পরিচালনার ক্ষেত্রে একাধিক ভুল পদক্ষেপের অভিযোগ
নিজস্ব: প্রতিনিধি কোলাঘাট পূর্ব মেদিনীপুর
সরব হয়েছিলেন স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি সন্দীপ রায়চৌধুরী। কোলা ইউনিয়ন হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিপ্লব ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে তিনি জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক এবং পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদে লিখিত অভিযোগ করেন। অন্যদিকে, প্রধান শিক্ষকও দ্বারস্থ হয়েছিলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে। দু’পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার শিক্ষা পর্যদের চার প্রতিনিধির একটি দল বিদ্যালয় এল তদন্তে। এ দিন প্রায় ছয় ঘণ্টা ধরে প্রতিনিধিরা স্কুলে আলোচনা সেরেছেন।
কোলা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১৬ সাল থেকে সভাপতি পদে রয়েছেন মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরীর ভাই সন্দীপ রায়চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক দীর্ঘদিন স্কুলের অডিট রিপোর্ট পরিচালন সমিতির বৈঠকে পেশ করেননি। স্কুলে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষার ফি বাবদ যে টাকা আসে তারও হিসাব তিনি পরিচালন কমিটিকে দেননি বলে অভিযোগ। সন্দীপের আরও অভিযোগ, “২০২৩ সালে পরিচালন কমিটির তরফে একটি সিদ্ধান্ত হয় রুটিন তৈরি করার। কারণ, পুরনো রুটিন অনুযায়ী অনার্স বা মাস্টার ডিগ্রি ছাড়াই একাধিক শিক্ষক একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস নিচ্ছেন। আইন অনুযায়ী করা যায় না।”
সন্দীপের দাবি, এই সব অনিয়মের কারণে তিনি কোনও বৈঠকেই যোগ দেননি। এতে বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষকের ‘সার্ভিস বেনিফিট’ আটকে যায়। আটকে যায় অস্থায়ী কর্মীদের বেতন, একাধিক উন্নয়নের কাজও। এর প্রেক্ষিতে গত ১৪ই অগস্ট সহকারী শিক্ষক অজয় কুমার মাইতি নিজের সার্ভিস বেনিফিটের দাবিতে প্রধান শিক্ষকের ঘরের বাইরে অবস্থানে বসেছিলেন।
এই সমস্ত জটিলতা মেটাতে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে প্রদীপ সামন্ত, সমীর ভূঁইয়া, তারক চন্দ্র- সহ চার প্রতিনিধির একটি দল এ দিন স্কুলে আসে।