উপভোক্তা বিষয়ক বিভাগ পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও স্থানীয় ব্যাবসায়ী সমিতির যৌথ উদ্যেগে এক সচেতনতা শিবির অনুষ্ঠিত হলো
স্বপ্ন পাল, দার্জিলিং: উপভোক্তা বিষয়ক বিভাগ পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির যৌথ উদ্যোগে স্থানীয় দুঃখ গোর্খা নিবারক সন্মলিনি হলে ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি সচেতনতা শিবির অনুষ্ঠিত হলো। এই সচেতনতা শিবিরের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল ব্যবসায়ীদের কাছে উপভোক্তা বিভাগের যে সমস্ত সুবিধা গুলো আছে সেই সব সুবিধা গুলি নিয়ে আলোচনা করা সেইসঙ্গে উচিত পরিচালন ব্যবসা কিভাবে সুন্দরভাবে সংগঠিত করা যায় সেই বিষয় নিয়ে চর্চা করা।
![](https://newsbanglalive.in/wp-content/uploads/2023/05/IMG_20230511_225552.jpg)
এই সচেতন শিবিরে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে তাদের অসুবিধা গুলোর কথা তুলে ধরেন ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা। বিভাগের পক্ষ থেকে সহ অধিকর্তা নিলয় সরকার তিনি ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ব্যবসা কিভাবে উপভোক্তাদের স্বার্থ রেখে করা যায় এ বিষয়েও বিশদ আলোচনা করেন বিভিন্ন বিভাগ থেকে আসা বক্তারা।
![](https://newsbanglalive.in/wp-content/uploads/2023/05/IMG_20230511_225540.jpg)
দার্জিলিং মিউনিসিপালিটি প্রতিনিধি কিভাবে অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স পাওয়া যেতে পারে এই বিষয়ে আলোচনা করেন যারা এখনো ট্রেড লাইসেন্স করতে গিয়ে নানা অসুবিধায় পড়েন তারা অবিলম্বে মিউসিপালটির সঙ্গে যোগাযোগ করে সেই সমস্যা সমাধান করতে পারবেন বলে টির ট্রেড লাইসেন্স বিভাগের প্রতিনিধি বিশদভাবে ব্যাখ্যা করে উপস্থিত ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
![](https://newsbanglalive.in/wp-content/uploads/2023/05/IMG_20230511_225605-1.jpg)
তেমনি খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের প্রতিনিধি প্রভাত পাল কেন খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরে ফুড সেফটি স্ট্যান্ডার্ড অথরিটির কাছে লিপিবদ্ধ করা দরকার এবং রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট ও লাইসেন্স কিভাবে পাওয়া যায় বিশদ ব্যাখ্যা দেন। তার বক্তব্যে উঠে আসে স্ট্রিট ভেন্ডার বা হেড ভেন্ডার তাদের জন্য খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের তরফে রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে কিন্তু সেই সমস্ত ছোট ব্যবসায়ীরা কোনভাবেই এগিয়ে আসছেন না তাদের কথা হলো এই ব্যবসা করার জন্য কোন লাইসেন্সের প্রয়োজন নেই।
ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কিছুদিন আগেও ব্যাপক প্রচার করা হয়েছিল স্টিট ভান্ডারদের নথিভুক্তকরণের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। প্রচার ও উপযুক্ত কার্যকারিতার অভাবে সেই বিষয়টি আর কার্যকরী করা যায়নি।ব্যবসায়ীদের নিয়ে এই সচেতনতা শিবির যথেষ্ট সারা ফেলে দিল ব্যবসায়ীদের প্রশ্ন এবং উৎসাহর বহর দেখে ।দার্জিলিংয়ে এখনো বহু অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছেন যারা ওজনে কম দিচ্ছেন বেশ কয়েকদিনের পুরনো মিষ্টি বিক্রি করছেন অথবা ১৯৮৬সালের প্যাকেজ কমোডিটি অ্যাক্ট মানছেন না। এই সচেতনতা শিবির থেকে তাদের উদ্দেশ্যে সরকারের পক্ষ থেকে এবং উপভোক্তা দপ্তরের তরফ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এবং জরিমানা করার জন্য প্রস্তাব উঠে আসে। ডিসট্রিক্ট কনজিউমার প্রটেকশন কাউন্সিলের প্রতিনিধি বিষয়টি তুলে ধরেন সরকারি আধিকারিকদের সামনে।
![](https://newsbanglalive.in/wp-content/uploads/2023/05/IMG_20230511_225525.jpg)
পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের ২০০ টাকার উপর কোন উপভোক্ত যদি জিনিস কেনেন অবশ্যই তাকে রশিদ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। খোলা খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করা একটি দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য হবে এছাড়া ভেজাল মিশানো খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করলে তাকে শাস্তি পেতে হবে বলেও এই সেমিনার থেকে উঠে এসেছে। উল্লেখ্য পর্যটন মরসুমে প্রচুর পর্যটক আসেন দার্জিলিঙে স্থানীয় রেস্টুরেন্ট গুলোর আন হাইজেনিক প্র্যাক্টিস থেকে দূরে থাকার জন্য রেস্টুরেন্ট গুলির প্রতিনিধিদেরকাছে আবেদন রাখা হয়।