পশ্চিম মেদিনীপুরশীর্ষ খবর

স্ত্রীর মর্যাদা পাওয়ার দাবিতে স্বামীর বাড়ির উঠোনে ধর্ণা গৃহবধূর

নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর: স্ত্রীর যোগ্য মর্যাদা পাওয়ার দাবিতে স্বামীর বাড়ির উঠোনে ধরনা এক গৃহবধূর। ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার খানামোহন অঞ্চলের চকবাহাদুরপুর গ্রামে।যা নিয়ে অস্বস্তিতে মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকজন।জানা গিয়েছে, বছর দেড়েক আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার চকবাহাদুরপুর এলাকার দেবাশীষ মাইতির সাথে বিয়ে হয় খড়গপুর লোকাল থানার বসন্তপুর গ্রামের অঙ্কিতা পাত্রের। অঙ্কিতা পাত্রের বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই নানাভাবে মানসিক নির্যাতন করত শ্বশুরবাড়ি লোকজন। তবে বারংবার পারিবারিকভাবে সেই সমস্যা মিটানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তবে সুরাহা না মেলায় যোগ্য সম্মানের দাবিতে শ্বশুরবাড়ির উঠোনে বসে দাবি আদায়ের চেষ্টা গৃহবধুর। তবে অঙ্কিতা শ্বশুরবাড়ি থেকে তেমন কোন উত্তর মেলেনি।

অঙ্কিতার পরিবার সূত্রে খবর, গত দেড় বছর আগে পারিবারিক সম্মতিক্রমে বিয়ে হয় দুজনের। তবে এরপর থেকে নানাভাবে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। যে কারনে বেশ কয়েক মাস আগে বাপের বাড়ি চলে আসে অঙ্কিতা। তবে ফের বাপের বাড়িতে এলে তাকে ঢুকতে দেওয়া হয় নি বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে স্বামীর থেকে যোগ্য সম্মান পেতে হতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্বামীর বাড়ির উঠোনে ধর্নায় বসেন ওই গৃহবধূ।অঙ্কিতা জানিয়েছেন, কোন অজ্ঞাত কারণে আমাকে মানতে চায়নি বুঝতে পারছিনা। তবে আমাকে আমার অসুস্থতা এবং আমাকে নানাভাবে মানসিক নির্যাতন করেছে। তাই বাধ্য হয়ে বাপের বাড়ি যাই। ফিরে আসতে আমাকে ঘরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।আমি যোগ্য স্ত্রীর মর্যাদা ফিরে পেতে চাই।যদিও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

অঙ্কিতার বাবা, উত্তম পাত্র বলেন, আমরা অনেকবার মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সাথে বসে আলোচনা করেছি তবে সুরাহা হয়নি। সকালে মেয়ে বিবাহের শংসাপত্র নিয়ে তার স্বামীর বাড়িতে এসে ধরনা দেয়। এই বাংলায় যখন একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী তখন এই পরিস্থিতি তৈরি হবে কেন?তবে এই ঘটনায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *