সিপিআইএম এবং কংগ্রেস জোটের দখলে থাকা গ্রাম পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নিল তৃণমূল
![](https://newsbanglalive.in/wp-content/uploads/2021/12/IMG_20211217_161633-1024x538.jpg)
পার্থ ঝা,মালদা;
নিজস্ব প্রতিনিধি ,এলাকায় বিরোধীদের দখলে থাকা একমাত্র পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। সিপিআইএমের প্রধানের বিরুদ্ধে আনা হলো অনাস্থা। সেই অনাস্থার ভিত্তিতে পঞ্চায়েত এই মুহূর্তে শাসক দলের দখলে। অনাস্থা নিয়ে শুরু হয়েছে জোড় রাজনৈতিক তরজা। বিরোধীরা তীব্র কটাক্ষ করেছে শাসকদলকে। যদিও সব মমতা ব্যানার্জীর উন্নয়নের ফল দাবি শাসক দলের। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপু ২ নং ব্লকে বিরোধীদের থাকা একমাত্র পঞ্চায়েত মালিওর ২ গ্ৰাম পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নিল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই মালিওর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত ৯ টি আসনের মধ্যে তৃনমুল পেয়েছিল ৪ টি। কংগ্রেসের ছিল ৩ । সিপিএমের ২। কংগ্রেস ও সিপিএম জোট করে ক্ষমতা দখল করে।
![](https://newsbanglalive.in/wp-content/uploads/2021/12/IMG_20211217_162014-1024x508.jpg)
প্রধান হয় সিপিএমের তোরিনা খাতুন এবং উপপ্রধান হন কংগ্ৰের দিলীপ দাস। এই দিলীপ দাস তৃনমুলে যোগ দেন।
![](https://newsbanglalive.in/wp-content/uploads/2021/12/IMG_20211217_162159-1024x543.jpg)
ফলে সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারায় কংগ্রেস ও সিপিএম জোট। তাদের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে তৃনমুল। আজ শুক্রবার মালিওর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে রয়েছে সেই অনাস্থা। ফলে সকাল থেকেই টানটান উত্তেজনার পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা জ্যোৎস্নারা খাতুন বলেন,” সিপিআইএমের প্রধান দুর্নীতি করছিল। কোন রকম উন্নয়ন মূলক কাজ হচ্ছিল না। তাই অনাস্থা আনা হয়েছে। অনাস্থার পক্ষে রয়েছে কংগ্রেসের একজন সদস্য।”
তৃণমূল নেতা আশরাফুল হক বলেন,” এই গ্রাম পঞ্চায়েত সিপিআইএম ও কংগ্রেস জোটের দখলে ছিল। কিন্তু কোনো উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছিল না।ফলে সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত ছিল।তাই প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়। কংগ্রেস থেকে একজন সদস্য তৃণমূলে যোগ দেয়।তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা এই মুহূর্তে ৫। তাই নিয়ম মেনে তৃণমূলের প্রধান হবে। পঞ্চায়েতের উন্নয়নমূলক কাজ দ্রুত গতিতে হবে।”
সিপিআইএম নেতা গৌতম আচার্য বলেন, চারিদিক জুড়ে এরকম হচ্ছে। শাসকদল গায়ের জোরে পঞ্চায়েত দখল করছে।পঞ্চায়েত গুলি গুগোল ভাষায় পরিণত হয়েছে। প্রচন্ড হারে দুর্নীতি হচ্ছে। মানুষকে বলব সব দেখতে।”
তৃণমূলকে আক্রমণ করে কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি আব্দুস শোভান বলেন,পঞ্চায়েত ভোটের সময় এই অঞ্চলের মানুষ জোট বেঁধে শাসকদলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিল। তাই এই পঞ্চায়েত সিপিআইএম ও কংগ্রেস জোটের দখলে ছিল। শাসকদল আমাদের সদস্য কে হুমকি দিয়ে জোর করে নিজেদের দলে টেনেছে। আমরা এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব। মানুষও ভবিষ্যতে জবাব দেবে ।”
মালদা থেকে পার্থ ঝায়ের রিপোর্ট।