ভয়াবহ দুর্ঘটনা খড়গপুর স্টেশনে! ওভারহেড তার ছিঁড়ে গুরুতর জখম এক টিকিট পরীক্ষক
নিউজ বাংলা টুডে: খড়্গপুর স্টেশনে মারাত্মক দুর্ঘটনা, বরাত জোরে প্রাণে বাঁচলেন রেলকর্মীএ যেন ‘বিনা মেঘে বজ্রপাত’ আর ‘রাখে হরি মারে কে’- দুই প্রবাদের সার্থক দৃশ্যায়ন দেখলো খড়্গপুর স্টেশন! ঘড়ির কাঁটায় তখন বেলা ১২টা। খড়্গপুর স্টেশনের ২ ও ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝামাঝি স্থানে দাঁড়িয়ে নিজেদের মধ্যে কথা বলছিলেন দুই টিকিট পরীক্ষক। হঠাৎ-ই উপর থেকে একটি বিদ্যুতের তারে সে সোজা পড়ে এক টিকিট পরীক্ষকের মাথায়! মুহূর্তের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযুক্ত ওই তার শরীরের সংস্পর্শে এসে জ্বলে ওঠে। সংজ্ঞা হারিয়ে প্লাটফর্ম থেকে একদম রেল লাইনে ছিটকে পড়েন ওই টিকিট পরীক্ষক। গুরুতর আহত ওই টিকিট পরীক্ষকের নাম সুজন কে সিং সর্দার বলে জানা গেছে। বয়স আনুমানিক ৫৫-৫৬। অপর টিকিট পরীক্ষক সরাসরি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট না হলেও, ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে পড়েন এবং সামান্য আহত হন।অপরদিকে, রেললাইনের ছিটকে পড়া ওই টিকিট পরীক্ষককে দ্রুত রেল পুলিশ ও রেলকর্মীদের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়। পাঠানো হয় রেলের হাসপাতালে। এই মুহূর্তে তিনি কিছুটা স্থিতিশীল আছেন। এদিকে, রেলের ওভারহেড তারে প্রায় ২৫ হাজার ভোল্ট বিদ্যুৎ সংযোগ থাকে! স্বাভাবিক ভাবেই যে আরও বড় বিপদ হতে পারতো তা বলছেন সংশ্লিষ্ট সকলেই। এদিকে, রেল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রেলের ওভারহেড তারে একটি কাক ওই সময় বসেছিল। সেই কোনোভাবে একটি তার ছিঁড়ে ফেলে! সঙ্গে সঙ্গে একটি সরু তার নিচে পড়ে যায়। যাতে ২৫ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল! ওই তারই সরাসরি রেলকর্মীর মাথায় এসে পড়ে এবং আতসবাজির মতো সশব্দে জ্বলে ওঠে! এ যেন সত্যি সত্যিই ‘বিনা মেঘে বজ্রপাত’! অন্যদিকে, এভাবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঘটনায় যে আরও বড় বিপদ হতে পারতো তা স্বীকার করে নিয়েছেন সব সব পক্ষই। এও জানা গেছে, ওই সময় ওই লাইন দিয়ে একটি ট্রেনেরও আসার কথা ছিল! সবমিলিয়ে এতবড়ো বিপদের সম্মুখীন হয়েও, যেভাবে রেলকর্মী সুজন সিং সর্দার প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন, সেই ঘটনাকে অনেকেই ‘রাখে হরি মারে কে’ বলছেন! তবে, এই বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষের আরো সচেতন হওয়া প্রয়োজন বলে সাধারণ যাত্রী ও কর্মীরা দাবি করেছেন।