মালদাশীর্ষ খবর

প্রথমে খুন, তারপর ফাঁসি! স্বামীর হত্যায় এক স্ত্রীকে দায়ী করলেন আরেক স্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদা: স্বামীকে খুন করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ এক স্ত্রী এবং তার পরিবারের লোকেদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ আরেক স্ত্রীর। মৃত ব্যক্তির দুটি বিয়ে। স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়ে অভিযোগকারী স্ত্রী বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ি আসার আগেই পরিবারের লোকেরা ধর্মীয় রীতি অনুসারে কবর দিয়ে দেয় মৃতদেহ। থানায় আট জনের নামে দায়ের খুনের অভিযোগ। অভিযুক্তদের মধ্যে পুলিশের জালে ধৃত ১। মৃতদেহ কবর থেকে তুলে ময়না তদন্তের দাবি অভিযোগকারী স্ত্রীর। ধৃতকে পুলিশি হেফাজতে চেয়ে আদালতে পেশ পুলিশের। সমগ্র ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ভাটল চন্ডিপুরা এলাকার গাররা গ্রামের বাসিন্দা হাসন। পেশায় ভিন রাজ্যে দর্জির কাজ করতো হাসন। হাসানের দুই স্ত্রী। আনা বিবি এবং আরবিনা বিবি। দ্বিতীয় স্ত্রী আনা বিবি স্বামী হাসন এবং পরিবারের সঙ্গে তার বাড়িতেই থাকতেন। আরবিনা বিবি বিগত এক বছর ধরে তাদের ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়ি থাকতেন। আরবিনা বিবির দাবি পারিবারিক বিবাদের ফলে অতিষ্ঠ হয়ে সেই ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে গেছিল।আরবিনা বিবিকে প্রেম করে বিয়ে করেছিল হাসন। পরিবারের লোক মেনে নেয় নি সেই বিয়ে। তাই নিয়েই হতো অশান্তি।আরবিনা চলে যাওয়ার পর। সেই সময় পরিবারের লোকের চক্রান্ত এবং উস্কানিতে হাসান আনা বিবিকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসে বলে অভিযোগ। এদিকে আরবিনা বিবি তার এবং ছেলের দায়িত্বের জন্য চাপ দিতে থাকে। ৩ তারিখ রাত্রে ফোনে কথা হয়েছিল প্রথম স্ত্রী আরবিনা বিবির সঙ্গে হাসানের। সে জানিয়েছিল কিছু দিনের মধ্যেই বাপের বাড়ি থেকে তাকেও নিয়ে আসবে বলেছিল হাসন। কিন্তু গত ৪ তারিখ রাত্রে আরবিনা বিবি খবর পায় তার স্বামী হাসানের রহস্য জনক ভাবে মৃত্যু হয়েছে। ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে তার। ৫ তারিখ আরবিনা বিবি তার পুত্র সন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছলে জানতে পারে ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী হাসানের শেষ সংস্কার হয়ে গেছে। কিন্তু তার অভিযোগ তার স্বামীকে খুন করা হয়েছে। আনা বিবি এবং পরিবারের অন্য লোকেরা মিলে তার স্বামীকে খুন করেছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানার জন্য হরিশ্চন্দ্রপুর থানার দ্বারস্থ হয় সে। আনা বিবি সহ পরিবারের আটজনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে রাকিব নামে এক জনকে গ্রেফতার করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে ধৃতকে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। বাকি সাত জন পলাতক অভিযুক্তদের খোঁজে চলছে তল্লাশি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মৃত্যু রহস্যের কিনারা করতে দেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য ব্যবস্থা করছে পুলিশ। শুরু হয়েছে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *