দুদিনের ভারী প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ভাঙল সমুদ্র ও নদী বাঁধ। ডুবে যাওয়ার অতঙ্কে বাসিন্দারা
নিউজ বাংলা লাইভ : চলতি মাসের ১ থেকে ৩ তারিখ পর্যন্ত ভারী প্রাকৃতিক দুর্যোগের সর্তকতা জারি করা হয়েছিল আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে। ১ তারিখ সেরকম কোনো বিপর্যয়ের প্রবাব পড়েনি পূর্ব মেদিনীপুরে।তবে গত ২ ও ৩ এ আগস্ট জেলাজুড়ে ভারী বৃষ্টিপাত দেখাগিয়েছে।পূর্ণিমা ভরা কটাল থাকায় দীঘা সমুদ্র এবং তমলুকের রূপনারায়ন নদীতে দেখা গিয়েছিল ব্যাপক জলস্রোত।
বর্ষা শুরুর প্রথমেই এরকম ভয়ানক জলস্রোত আতঙ্ক তৈরি করেছে খেজুরি ও তমলুকের মানুষের মধ্যে। কারণ খেজুরি তে সমুদ্র বাঁধ ক্রমেই ভেঙে চলেছে অপরদিকে তমলুকে রূপনারায়ন নদীর পাড়েও ক্রমেই ধসে যেতে শুরু করেছে নদীবাঁধ।দুই তীরবর্তী এলাকার মানুষ এই বাঁধ ভাঙ্গনের ফলে যথেষ্টই উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।প্রশাসনের কাছে তাদের কাতর আবেদন দ্রুত এই বাঁধ সারানো হোক, নাহলে একাধিক গ্রাম জলের তলায় চলে যাওয়ার আশঙ্কাও করছেন গ্রামবাসীরা। দীঘা সমুদ্রের তীরবর্তী খেজুরি এলাকার মানুষ বলছেন প্রবল জলোচ্ছ্বাসে বাঁধের প্রায় অর্ধেক অংশ জলের তলায় চলে গিয়েছে। আর কিছুটা বাঁধ সম্বল রয়েছে। ওটা ভাঙলে স্থানীয় প্রায় দশটা গ্রাম জলের তলায় চলে যেতে পারে। প্রশাসনের কাছে কাতর আর্জি করছি দ্রুত এই বাঁধ নির্মাণের ব্যবস্থা করুক এবং সাধারণ মানুষ কে ভয়ের পরিবেশ থেকে রক্ষা করা হোক। অপরদিকে তমলুক রূপনারায়ণ নদীতে পূর্ণিমার কটালে প্রবল জলস্রোত দেখা গিয়েছিল। সেখানেও ভেঙেছে নদী বাঁধ। জলযন্ত্রনা থেকে নিজেদের কে রক্ষা করতে স্থানীয়রাই উদ্যোগী হয়েছেন মাটি দিয়ে জল আটকে নিজেদের গ্রাম রক্ষা করাতে।খবর পেয়ে ভাঙ্গা বাঁধ দেখতে সেখানে পৌঁছায় স্থানীয় ইরিগেশন ও পৌরসভার প্রতিনিধিরা। স্থানীয়দের আশ্বস্ত করেন বাঁধ মেরামতির ক্ষেত্রে। বর্ষা শুরুর প্রথম প্রাকৃতিক বিপর্যয় দুটি এলাকার মানুষের মধ্যে এতটা ভয় তৈরি করবে ভাবতেও পারেননি এলাকার মানুষ। তাদের দাবী শুরুতেই যদি এরকম পরিস্থিতির শিকার হতে হয় তবে বিপর্যয় বাড়লে আরো ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে ওই এলাকাতে।দ্রুত খেজুরি এবং তমলুকের ভেঙে যাওয়া বাঁধ নির্মাণের দাবী তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।