পূর্ব মেদিনীপুর

দিদির কাছে পেনশান বাড়ানোর আর্জি জানালো বাংলার দিব্যাঙ্গরা

পূর্ব মেদিনীপুর: বাজেটে রাজ্য সরকার জনমোহিনী কিছু পদক্ষেপ ঘোষণা করেছেন তেমনি বাড়িয়ে দিয়েছে লক্ষী ভান্ডার ,তফসিলি জাতি, উপজাতি, সিভিক ভলেন্টিয়ারদের সম্মান ভাতা ,সরকারি কর্মচারীদের ডি.এ বাড়ানো হয়েছে। এবার প্রতিবন্ধীদের তাদের পেনশন বাড়ানোর দাবি জানিয়ে দিদির কাছে তার আর্জি জানালো। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বারবার তারা দাবি জানিয়ে এসেছিল প্রতিবন্ধীদের পেনশন বাড়ানো হোক কিন্তু রাজ্য সরকার আর্থিক সংকটের কথা বিভিন্ন সময়ে বলেছে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার কথা, তা সত্ত্বেও না চাইতেও জল দেওয়ার মতো লক্ষী ভান্ডার , তফসিলীদের পেনশন বাড়ানোর ক্ষোভ তৈরি হয়েছে দিব্যাঙ্গদের মধ্যে. দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে ১০০০ টাকা পেনশন দিন গুজরান,ওষুধপত্র কেনা ,তার উপর দৈনন্দিন আয়ের শারীরিক সমস্যার ঘাটতি ,সেজন্য মাসে মাসে পেনশনটা খানিকটা প্রতিবন্ধীদের জীবনে সচ্ছন্দতা আনে। দীর্ঘ আন্দোলন করে রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু বাবুর চেষ্টায় রাজ্য সরকার ২০১৭ সালে ৪০ শতাংশের উপর প্রতিবন্ধীদের জন্য মাসে মাসে ১০০০ টাকা করে মানবিক পেনশন চালু করে। এই পেনশন যাতে বাড়ানো হয়।

এই আর্জি নিয়ে আজ পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসকের কার্যালয়ের পাশে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে প্রতিবন্ধীরা সমবেত হয়। প্রতিবন্ধীদের দাবি যেভাবে লক্ষী ভান্ডার তফশিলিদের পেনশান ,সিভিক পুলিশদের ভাতা বাড়ানো হয়েছে ,১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছেন তাতেও মনে হয় না রাজ্য আর্থিক সংকটের মধ্যে আছে। তাই বাংলার সব দিব্যাঙ্গদের পেনশান বাড়ানোর জন্য দিদির কাছে আর্জি জানালো দক্ষিণবঙ্গের দিব্যাঙ্গরা।

এদিন স্বাক্ষর সংগ্রহ করে দিদির কাছে তাদের আবেদন বার্তা পাঠানো হবে বলে জানালো প্রতিবন্ধীদের উন্নয়ন ও অধিকার রক্ষা সমিতি।এদিন এই সমিতিরর পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক শ্রী যোগেশ সামন্ত বলেন ভারতবর্ষের অনেক রাজ্যে প্রতিবন্ধীদের পেনশানের টাকার পরিমান আমাদের রাজ্যের তুলনায় অনেক বেশি। রাজ্য সরকারের ইচ্ছায় যেমন বহু প্রতিবন্ধীরা যেমন মানবিক পেনশান পাচ্ছেন এজন্য রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তেমনি এই ১০০০ টাকা থেকে ন্যূনতম ৩০০০ টাকা যাতে পেনশান দেওয়ার ব্যবস্থা রাজ্য সরকার করে এটাই আমাদের দাবি দিদির কাছে।এদিনের জমায়েত পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর বাঁকুড়া ঝাড়গ্রাম দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রতিবন্ধী মানুষ ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *