পাঁশকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরশীর্ষ খবর

ছেলে-বৌমার অত্যাচার পুলিশের দারস্থ মা! পাঁশকুড়ার ঘটনা

নিজস্ব প্রতিনিধি, পাঁশকুড়া : জন্মদাতা মায়ের প্রতি তিক্ততা, নাকি বৃদ্ধা মা এখন ছেলেদের কাছে বোঝা হয়ে দাড়িয়েছে ??এই প্রশ্নই সামনে নিয়ে এল পাঁশকুড়া নস্করদিঘীর এক বৃদ্ধা মা এর উপর কোদাল দিয়ে ছেলের অত্যাচার ও আঘাতের ঘটনা । পাঁশকুড়া নস্কর দিঘির বাসিন্দা গীতা দণ্ডপাঠ বয়স ৬৭ বছর ২৫ বছর আগে স্বামী মারা গিয়েছেন তার। কয়েকদিন পরেই দুই ছেলেকে মানুষ করতে কঠোর পরিশ্রম শুরু করেন গীতাদেবি।এর ওর বাড়ির ফুলের বাগানে কাজ করে দুই ছেলেকে বড় করেন তিনি । কয়েক বছর পর ছেলেদের বিয়ে হয়, তার পরেই মাকে ছেড়ে আলাদা থাকতে শুরু করে দুই ছেলে । স্বামী হারা দুই ছেলে পরিতক্ত ওই বৃদ্ধা নিজের খোরাক জোগাতে এর ওর বাড়ি ফুলবাগানে আবারও কাজ শুরু করেন তাতেই কোন রকমে দিন কাটে বৃদ্ধার । কিছুটা জায়গা সম্পত্তি ও রয়েছে তার । এক বছর আগে সেই সম্পত্তি ভাগ চেয়েছিল তার দুই ছেলে কিছুটা তাদেরকে দিয়ে দিলেও বাকি অংশটা নিজের নামে রাখেন ওই বৃদ্ধা, কয়েকবার সেই সম্পত্তিও চেয়েছিল তার ছোট ছেলে। নিজের ভবিষ্যতের কথা ভেবে বাকি সম্পত্তি নিজের কাছেই রাখেন ওই বৃদ্ধা তবে বিগত কয়েক বছর ধরে বৃদ্ধার উপর চলছে চরম অত্যাচার , কখনো ছেলে কখনো বৌমা তাকে মারধর করতে থাকেন প্রায়সই। ছেলে বৌমার কথা ভেবে চুপ থাকতেন তিনি ,তবে গতকাল রাত্রে ধর্যের সীমা পেরিয়ে যায়, কারণ বৃদ্ধার অভিযোগ ছোট ছেলে কোদাল দিয়ে মায়ের হাতে আঘাত করেন। বৌমা তাকে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেন । সহ্য করতে না পেরে প্রতিবেশী বাড়িতে চলে যান ওই বৃদ্ধা। সকাল হতেই পাঁশকুড়া থানার দারুস্থ হয়েছেন বৃদ্ধা, এত অত্যাচারের পরেও ছেলেদের সাথে এখানো থাকতে চান তিনি, তাই পুলিশের দ্বারস্ত হয়ে তার আবেদন — তিনি যাতে ছেলেদের সাথেই সুস্থ থাকতে পারেন সেই ব্যবস্থা করে দিন স্যার । কেন জন্ম দাতা মায়ের প্রতি এহেন অত্যাচার ? এবিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাইনি বৃদ্ধার দুই ছেলে রঘুনথ দন্ডপাত ও গুরুপদ দন্ডপাত। কি কারনে বৃদ্ধার প্রতি ছেলেদের এ রূপ অত্যাচার সে বিষয়েও স্পষ্ট নয় বৃদ্ধা সহ পুলিশ প্রশাসন তবে স্বামী মারা যাওয়ার পর এর ওর বাড়ি কাজ করে ছেলেদের মানুষ করার সেই স্বপ্নের দিন আবারও ফিরে পেতে আজও মরিয়া ওই বৃদ্ধা তাই পুলিশের কাছে আবদার ছেলেকে বুঝিয়ে পুনরায় বাড়ি ফিরতে চান তিনি। নিজের জন্মদাতা মায়ের প্রতি এহেন অত্যাচার যথেষ্টই নিন্দনিয় বলে মনে করছে স্থানীয় মানুষজন । তবে ভবিষ্যতে সন্তানদের নিয়ে সুখে শান্তিতে সংসার করা বৃদ্ধার স্বপ্ন আদৌ পূরণ হবে কি ওই বৃদ্ধার সে বিষয়ে প্রশ্ন চিহ্ন থেকেই যাচ্ছে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *