কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কড়া নির্দেশ কমিশনের।
রাজ্য : কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ সঠিক পদ্ধতিতে হচ্ছে কিনা, এবার তাতেও নজর রাখতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। এবারের ভোট নিয়ে যে কমিশন ভীষণ তৎপর, তা তাঁদের পদক্ষেপ দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
প্রথম রাজ্যের ডিজি বদলের পাশাপাশি জেলাশাসকের বদল করেছে নির্বাচন কমিশন। আর এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছেও রিপোর্ট তলব করছে নির্বাচন কমিশন। ২৯ মার্চ থেকে প্রতিদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ সংক্রান্ত তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রতিদিন সকাল ১০টার মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ নিয়ে হার্ড কপি ও ই-মেলের মাধ্যমে তথ্য পাঠাতে হবে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককেও জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিআরপিএফকে। ভোটে এরাজ্যে ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আর তাঁদের প্রত্যেককেই এই নির্দেশ মানতে হবে বলে জানা যাচ্ছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানিয়েছেন, ভোটের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে যাতে সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়, সে জন্যই এমন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
অনেক সময়েই অভিযোগ আসে, সেন্ট্রাল ফোর্স মোতায়েন করা হলেও ঠিকমতো ব্যবহার করা হয়নি। বাহিনীকে বসিয়ে রাখা বা অন্য জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগও এসেছে এর আগে বহুবার। তাই এবার থেকে বাহিনী কোথায় আছে, কী করছে, প্রতিদিনের রিপোর্ট জমা করতে হবে।বাংলায় প্রথম দফার তিনটি আসনের নির্বাচনের জন্য ২২৫ কোম্পানির বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা হতে পারে।
সূত্রের খবর, এমনই পরিকল্পনা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে থাকবেন তিনজন বিশেষ পর্যবেক্ষকও। ভোট ঘোষণার আগেই এবারে নজিরবিহীনভাবে বাংলায় এসেছে ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর ১ এপ্রিল রাজ্যে আসছে আরও ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই ভাবেই রাজ্যে একে একে এসে উপস্থিত হবে ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।