কাঁথিপূর্ব মেদিনীপুর

কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপিতে ভাঙ্গন!৪০টি পরিবার যোগদান করল তৃণমূলে।

সামনে লোকসভা নির্বাচন আর এই নির্বাচনকে সামনে রেখে সমস্ত রাজনৈতিক দল সারছেন তাদের ভোট প্রচার। ভোটের লড়াই হওয়ার আগেই, চলছে দল ভাঙানোর লড়াই। কাঁথি ১ নম্বর ব্লকের মহিষাগোট গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিশংকর মান্না (প্রাক্তন শক্তি কেন্দ্র প্রমুখ ও বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য) ও মাজিলাপুট গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি কর্মী সতব্রত পাত্র’র হাত ধরে ৪০টি পরিবারের কুড়িজন বিজেপি কর্মী যোগদান করে তৃণমূল কংগ্রেসে। কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী উত্তম বারিক ও জেলা সভাপতি পীযুষ্কান্তি পন্ডা এদিন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানকারী দুই বিজেপি নেতার হাতে তুলে দেয় দলীয় পতাকা। বিজেপি ছেড়ে এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করে, হরিশংকর মান্না বলেন- ‘যারা পঞ্চায়েতে নেতৃত্ব করছে, তারা নিজেদের ইগো নিয়ে ব্যস্ত। আমরা পুরনো কার্যকরতা, আমাদের অনেক দূরেরভাবে ওরা। তাই এখন আর ওই দলটাকে পছন্দ নয়। মমতা বন্দ ব্যানার্জি উন্নয়নে অনেকটা এগিয়ে আছে তাই সামিল হয়েছি।’

তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের কোমেন্টর হাবিবুর রহমান বলেন- ‘এখন বিজেপির একটা বড় অংশে, সেটা বিশেষত পুরনো বিজেপি যারা। তাদের সিদ্ধান্ত নো ভোট টু অধিকারী। তারা আজকে কিন্তু এটা ঘোষণা করেছে। বিভিন্ন জায়গা শুনতে পাবেন পুরনো বিজেপিরা বলছে নো ভোট টু বিজেপি-, কারণ বিজেপির যে প্রথম সারি ছিল সেই সারিটা অধিকারীরা দখল করে নিয়েছে। আগে শুধু শুভেন্দু অধিকারী ছিলেন, এখন দিব্যেন্দু অধিকারী, শিশির অধিকারী, সৌমেন্দু অধিকারী আর পাশে একটা দুটো যে সিট আছে, তাও অধিকারী কোম্পানির।

মানুষ মমতার সঙ্গে আছেন, কারণ মমতা জনতার সঙ্গে আছে। ধীরে ধীরে দেখতে পাবেন, ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যকর্তারা যারা দীর্ঘদিন ভারতীয় জনতা পার্টি করেছেন তাদের কাজকর্মে অসন্তুষ্ট হয়ে তারা সেই দল কে ত্যাগ করেছে। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে তারা যোগদান করছে। এদিন এমনই মন্তব্য করেন- পূর্ব মেদিনীপুর কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পীযূষ কান্তি পন্ডা।

অপরদিকে বিজেপি জেলা সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মন্ডল এই যোগদান কে কটাক্ষ করে বলেন- ‘চারটি পরিবার কিনা খোঁজ নিন, মোটামুটি খাতা তাটা হাতড়ে সোশ্যাল মিডিয়া যা দেখলাম দুজনের নাম বলেছে। হরসংকর মান্না একদা একসময় বিজেপি করতেন, পঞ্চায়েতের সময় নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। সত্যব্রত পাত্র বলে একজন বললেন, খোঁজ নিয়ে পাওয়া যায়নি ভারতীয় জনতা পার্টির বুথ কমিটির সাধারণ মেম্বার পর্যন্ত নয়। বাকি যেটা বোঝা গেল- তার জায়গা দখল করিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, বিশেষ কাউকে দিয়ে। সেখানে ভয় দেখিয়ে এরকম প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। সারা লোকসভা জুড়ে মানুষ দেখছে, প্রতিদিন দলে দলে সংখ্যালঘু সমেত তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করছে। বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্বরা। সেখান থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর জন্য এই ধরনের নাটক করতে হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *