‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে শুভেন্দু অধিকারী হতেন না!’ বিস্ফোরক মন্তব্যে ভরা সভায় শুভেন্দুকে সরাসরি অপমান তৃণমূল নেত্রীর
নিউজ বাংলা টুডে: এবার জনসম্মুখে শুভেন্দুকে সরাসরি অপমান তৃণমূল নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের। ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে শুভেন্দু অধিকারী হতেন না !’ তমলুকের এক সভায় ঠিক এমনই তেজালো মন্তব্য রাখলেন তৃণমূল নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।ওই দিন সভায় তিনি বিরোধীদের কটাক্ষ করার পাশাপাশি সকলের কাছে তুলে ধরলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মমতাময়ী রূপ। তুলে ধরলেন তার মরণপন সংগ্রামের কাহিনী। ঐদিন তমলুকের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘মহিলাদের সমবেত লড়াই, শক্তি, ঐক্য আমাদের ভিত্তি। রাজ্যের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের সার্বিক বিকাশে কেবল সংরক্ষণ করেননি। সব দিক থেকে মহিলা শক্তিকে অগ্রগতির পথে পরিচালিত করেছেন। ৭৫ বছরের স্বাধীনতার পরেও এই মহিলাদের নিয়ে কেউ ভাবেননি।’ তিনি আরও বলেন , ‘শিক্ষার প্রসারে যাতে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের মধ্যেও সমানভাবে ছড়িয়ে পড়ে তার জন্য মরনপন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাইতো কন্যাশ্রী প্রকল্পকে আজ বিশ্ববাসী স্বীকৃতি দিয়েছে।কন্যাশ্রী রূপশ্রী সবুজ সাথী থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজের মহিলাদের মর্যাদা রক্ষার পাশাপাশি নিজেদের সাবলম্বী ওঠার জন্য প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।কিংবা অনুদান নয়, লক্ষীর ভান্ডার মাধ্যমে গ্রামের মহিলাদের অর্থনৈতিক শ্রী বৃদ্ধির জন্য প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি’ । তমলুক সভায় এই ধরনের মন্ত্যবের পাশাপাশি বিরোধীদের কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি নেত্রী চন্দ্রিমা।
ওই দিন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে প্রকাশ্যে কটাক্ষ করেন তিনি। সাথে দাঙ্গাবাজ বলেন গোটা বিজেপির দলকেই ।তিনি বলেন, ‘দাঙ্গাবাজ সবসময় হাইকোর্ট দেখায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে শুভেন্দু অধিকারী হতেন না’। তার বক্তব্যে, মানুষকে ন্যূনতম সম্মান দিতে জানে না শুভেন্দু।ঐদিন সভায় বিরোধীপক্ষকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছোড়েন তৃণমূল নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বিরোধী পক্ষের সময় ক্রমশ ঘনিয়ে আসার ইঙ্গিতও দিলেন তৃণমূল নেত্রী। বলেন এভাবে তাদের হুমকি দিয়ে কখনোই থামানো যাবে না। ঘূর্ণমান পৃথিবীর মতোই বিরোধী পক্ষের দম্ভ ও অহংকারও একদিন চূর্ণ হবে! এমনই মন্তব্য রাখলেন নেত্রী।তিনি আরও বলেন ,পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ঐতিহাসিক জেলা, বীরাঙ্গনা শহীদ মাতঙ্গিনী হাজরার জেলা। তাই এই জেলার মহিলাদের সম্মান জানিয়ে শুধু ভূমিপুত্র নয়, ভূমি কন্যা হিসেবে এই জেলার মেয়ে মালা রায়কে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব সপেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।