পরিবারের ৫০ জন মরণোত্তর অঙ্গদানের অঙ্গীকার
নিজস্ব সংবাদদাতা, মহিষাদলঃ মানব দেহের প্রতিটি অঙ্গই গুরুত্বপূর্ণ। মৃত্যুর পর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া বা মাটিতে পুঁতে দিয়ে মানব দেহের অঙ্গ নষ্ট করে দেওয়া হয়। বর্তমান সময়ে চিকিৎসা পরিষেবা উন্নত। মানব দেহের অঙ্গ নিয়ে অনেকের দেহে প্রতিস্থাপন করে অসুস্থ মানুষদের সুস্থ করে তোলা হচ্ছে। সরকার বা বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মরণোত্তর অঙ্গদানের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আগের থেকে মানুষ অনেকটাই সচেতন। তাই মৃত্যুর আগেই তার মানব দেহের অঙ্গদানের অঙ্গীকার করে যাচ্ছে। এমনই একটি ছবি ধরা পড়লো মহিষাদল থানার অমৃতবেড়িয়া গ্রামে। গ্রামের মহাপাত্র পরিবারের বর্তমান সদস্য ১১০ জন। পরিবারের কর্তা রবীন্দ্রনাথ গজেন্দ্র মহাপাত্র পরলোক গমন করেছেন। তাঁহার ইচ্ছা ছিলো মরণোত্তর অঙ্গদানের অঙ্গীকার করার কিন্তু তা করা সম্ভব হয়নি। তবে বাবা বা দাদুর আশা পুরন করতে শনিবার মহাপাত্র পরিবারে ৫০ জন মরণোত্তর অঙ্গদানের অঙ্গীকার করেন। প্রয়াত রবীন্দ্রনাথবাবুর ১৩ জন ছেলে মেয়ে। তাদের ছেলে মেয়ে মিলে বর্তমানে ১১০ জন সদস্য হয়েছে। পরিবারে কিছু সদস্য বাহিরে থাকায় অনেকেই ইচ্ছা প্রকাশ করলেও অঙ্গীকারবদ্ধ হতে পারেনি। এদিন ১৮ বছরের নার্সিং পড়ুয়ারা যেমন রয়েছে তেমনি ৭৩ বছরের দাদু ঠাকুমারাও অঙ্গীকারবদ্ধ হয়। বাবা বা দাদুর আশা পুরন করতে পেরে খুশি রবীন্দ্রনাথবাবুর ছেলে মেয়ে থেকে নাতি নাতনিরা। মহাপাত্র পরিবারের এই অঙ্গীকার গ্রাম বাংলার বহু মানুষকে এগিয়ে আসতে সহায়তা করবে।
পরিবারের সদস্য সৌমেন কুমার গজেন্দ্র মহাপাত্র জানান, বাবা চেয়েছিলেন তাঁর মৃত্যুর আগে দেহ দানের অঙ্গীকার করে যাবেন। কিন্তু সেই সময় তা করতে পারেননি। তাই আমরা বাবা মনের ইচ্ছা পুরনের জন্য পরিবারের সদস্যরা আলোচনা করে বাবা স্বপ্ন পুরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যদের কথা বলে ৫০ জনের সম্মতি পাই। সম্মতি পাওয়ার পর শনিবার উত্তরচড়া শঙ্করআড়া শান্তি সংঘ নামক একটি সংস্থার কাচ্ছে অঙ্গীকারবদ্ধ হই আমরা।