দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে ভোজনবিলাসে মহিষাদলের ঘুগনি গলি! একবার স্বাদ নেবেন নাকি?
পূর্ব মেদিনীপুর: পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল। এখানেই রয়েছে ঘুগনি গলি। পিৎজা, প্যাটিস কিংবা বার্গারের যুগেও মহিষাদলের ঘুগনি গলির ঘুগনি-মুড়ি ও চপের জুড়ি নেই। দাম বাড়লেও স্বাদ একই রয়েছে। প্রতিদিন হাজারেরও বেশি ক্রেতার ভিড় থাকে এই ঘুগনি গলিতে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলের ঘুগনি গলির এই খাবার আজও জনপ্রিয়তার শিখরে। সকাল হোক বা বিকেল, সন্ধে হোক বা রাত-ভোজনবিলাসে মহিষাদলের ঘুগনি গলির ঘুগনি-মুড়ির সঙ্গে চপের জুড়ি মেলা ভার।সামান্য একটি ছোটো দোকানে চপের ব্যবসা করে স্বনির্ভর হয়েছেন আদতে ওড়িশার বাসিন্দা শরৎ বেহেরা ও হেমন্ত বেহেরা নামে দুই ভাই। গত প্রায় ৫০ বছর ধরে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে চপের ব্যবসা করছেন তাঁদের পরিবার।
পড়শি রাজ্য ওড়িশা থেকে এঁদের বাবা প্রথমে এসেছিলেন এই রাজ্যে। তারপর এই এলাকায় কারবার শুরু করেন। বাবার পর এখন দুই ভাই কাঁধে তুলে নিয়েছেন ব্যবসার দায়িত্ব। দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে অক্লান্ত পরিশ্রমে কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। ওড়িশার এই দুই যুবক। যখনই দেখবেন দোকান এর সামনে ক্রেতার সমাগম। তাদের এই দোকানের কাহিনী রীতিমতো চর্চাবহুল।শরৎ বেহেরা তথা চপের ওই ব্যাবসায়ী জানিয়েছেন, “আগে বাবা ব্যবসা করতেন। এখন সেই ব্যাবসা তাঁদের কাঁধে। মানুষকে খাইয়েই তৃপ্তি, অন্য দিকে ক্রেতারাও বেশ খুশি”।