এবার হাসিমুখে গাইলেন, “আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে”।
কুণালের মনে হঠাৎ আনন্দের আগমণ, স্বমহিমায় ফিরছেন কি দলে? কুণাল ঘোষকে নিয়ে ভোটের মধ্য়ে কম অস্বতিতে পড়তে হয়নি তৃণমূলকে। দলীয় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর বিভিন্ন সময় বিস্ফোরক হতে দেখা গিয়েছে এই তৃণমূল নেতাকে। এরপরই শনিবার সকালে কুণাল ঘোষকে সঙ্গে নিয়েই হয়ে গেল তৃণমূলের জরুরি বৈঠক। ডেরেক ও ব্রায়েনের বাড়িতেই সেই বৈঠক হয় বলে সূত্রের খবর।
বৈঠক শেষে বেরিয়ে কুণাল বলেন, “আমি বারবার বলে এসেছি তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলাম, আছি, থাকব। আমার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আমার নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়”।বস্তুত, একটি কর্মসূচিতে বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা যায় কুণাল ঘোষকে। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে তাপসের ‘প্রশংসা’ করেন কুণাল। এরপর অর্থাৎ গত বুধবার রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ হারান তিনি। ঠিক পরের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দলের তারকা প্রচারকের তালিকা থেকেও বাদ দেওয়া হয় তাঁকে।
ওই দিনই চোখের জল ফেলতেও দেখায় যায় তৃণমূল নেতাকে। কিন্তু কুণাল বারেবারে বলেছেন, তিনি তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী হিসাবে কাজ করে যাবেন। আর এমনও তিনি বলেন, ‘পদে নেই, পথে আছি’। এরপর আজ বৈঠকের পর হাসিমুখে বের হন কুণাল ঘোষ। তারপর বলেন, “বারবার বলে এসেছি আমার পদ থাক বা না থাক তৃণমূলের কর্মী সমর্থক হয়েই থাকব।” এরপর কুণাল আর কিছুই বলেননি।
আজ কুণালাকে দেখা গিয়েছিল গান গাইতে। সেই গানের ইঙ্গিত তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মনে করেছিলেন রাজনীতির কারবারিরা। বৈঠক শেষে বেরিয়ে আবারও গান ধরলেন কুণাল। এবার হাসিমুখে গাইলেন, “আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে”।