২০২২ শিক্ষাবর্ষের শুরু থেকে সমস্ত শ্রেনীর পঠন-পাঠন চালুর দাবিতে তমলুকে মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিসে বিক্ষোভ সেভ এডুকেশনের পক্ষ থেকে
![](https://newsbanglalive.in/wp-content/uploads/2021/12/IMG_20211224_130014-1024x530.jpg)
তমলুক
নিজস্ব প্রতিনিধি ,আজ সেভ এডুকেশন কমিটি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শাখার পক্ষ থেকে তমলুক মানিকতলায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিসে বিক্ষোভ দেখানো হয়। গত 20 ডিসেম্বর রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত সার্কুলারএ আগামী 1 থেকে 7 জানুয়ারি পর্যন্ত ‘পুস্তক সপ্তাহ’ এ প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীর অভিভাবক দের হাতে সরকারি বই গুলি তুলে দেওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এর ফলে নতুন শিক্ষাবর্ষের প্রথম শ্রেণী থেকে বিদ্যালয় খোলা যে হচ্ছে না তা রাজ্য শিক্ষা দপ্তর পরিস্কার করে দিল।
![](https://newsbanglalive.in/wp-content/uploads/2021/12/IMG_20211224_125925-1024x731.jpg)
অথচ দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সহ বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রীরা 2022 শিক্ষাবর্ষের শুরু থেকে প্রথম শ্রেণী থেকেই স্কুল খোলা হবে বলে ইতিপূর্বে বহুবার জানিয়েছিলেন।
![](https://newsbanglalive.in/wp-content/uploads/2021/12/IMG_20211224_125936-1024x514.jpg)
তাই টালবাহানা না করে আগামী 2022 শিক্ষাবর্ষের শুরু থেকে ,প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বিদ্যালয় খোলার দাবিতে আজকে সেভ এডুকেশন কমিটির সদস্য সদস্যরা বিক্ষোভ দেখান।
তারা তমলুক মানিকতলা মোড়ে পথসভা করেন। এবং পূর্ব মেদিনীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
সেভ এডুকেশন কমিটির পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শাখার সম্পাদক শুভেন্দু শেখর দাস বলেন
” আমাদের সংগঠন সারা ভারত বর্ষ তথা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে সমস্ত বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণী থেকে পঠন-পাঠন চালুর দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। আমাদের রাজ্য সরকার জনগণের এই দাবিকে মর্যাদা না দিয়ে সাধারন বাড়ির ছেলে মেয়েদের শিক্ষাকে কেড়ে নিয়ে নেওয়ার জন্য আবারো বিদ্যালয় বন্ধ রাখার পরিকল্পনা করছে।আমরা অবিলম্বে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রথম শ্রেণী থেকে সম্পূর্ণ স্কুল খুলে পঠন-পাঠন শুরু করার দাবি করছি। মেলা খেলা সভা সমস্ত কিছু চলছে অথচ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে পঠন পাঠন বন্ধ রাখা হয়েছে এটা মানা যায় না।”
সেভ education কমিটির রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাসুদেব দাস জানান
” কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ মাধ্যমে অনলাইন শিক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে ধীরে ধীরে সাধারণ মানুষকে শিক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলতে চাইছে। তাই ইতিমধ্যে কলেজগুলির 40% ক্লাস অনলাইনে করার পরিকল্পনা কার্যকরী হচ্ছে। একই পথ অবলম্বন করে আমাদের রাজ্যের রাজ্য সরকার প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বিদ্যালয় না খুলে তারা শিক্ষার সর্বাত্মক বেসরকারিকরণ ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে শিক্ষা কে কেড়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। তাই অবিলম্বে প্রথম শ্রেণী থেকে বিদ্যালয় খুলে পঠন-পাঠন চালুর দাবি জানাচ্ছি।”
সেইসঙ্গে সফল কৃষক আন্দোলন থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রথম থেকে বিদ্যালয় খোলার দাবিতে অভিভাবকসহ সর্বস্তরের মানুষকে পথে নেমে শক্তিশালী আন্দোলনে সামিল হওয়ার আবেদন জানান।