দুই বাঘের একই দাওয়াই! এবার কি কেষ্টর প্রতিবেশী শাজাহান!
রাজ্য: একজন সন্দেশখালি আরেকজন বীরভূমের বাঘ ছিলেন। কিন্তু দুজনেই এখন ইডি নামক খাঁচায়। একজনের বিরুদ্ধে রেশন দুর্নীতি অন্যজনের গরু দুর্নীতির অভিযোগ। দুজনেই শাসকদলের হেভি ওয়েট নেতা। দু জনকে গ্রেফতারের ক্ষেত্রেই পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলা হয়েছে বারবার।
যদিও শাহজাহান কে প্রথম হেফাজতে নিয়েছিল রাজ্য পুলিশ তারপর কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই তাকে গ্রেফতার করে। জেলের ভেতর থাকাকালীন আবারো হাত বদল হয়ে ইডির হাতে গ্রেপ্তার হন শাহজাহান। শাহজাহানের ভাই আলমগীরকেও গ্রেফতার করা হয়েছে এমনকি তার গোটা পরিবার এই দুর্নীতিতে ওতপ্রোতভাবে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। অনুব্রতর পর পর তার মেয়েকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বর্তমানে তিনিও হেফাজতে। দুজনেই ক্ষমতা ব্যবহার করে নানান তান্ডব লীলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলের নামে নাকি বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খেত আর সন্দেশখালিতে মহিলা থেকে পুরুষ সকলেই নিপীড়নের শিকার হয়েছেন শাজাহান সাহেবের।
তাদের দুজনের বিরুদ্ধেই ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠেছে। দুজন গ্রেপ্তার হওয়ার পরেই নিজে নিজে এলাকায় শান্তি ফিরে এসেছে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ।। গরু পাচার কাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে জেরা করতে সোজা তিহারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অনুব্রতকে। বর্তমানে ইডির হাতে শেখ শাহজাহান। রেশন দুর্নীতি মামলায় তারও কি ঠাঁই হবে দিল্লির তিহার জেলে। কেষ্ট এবং শাজাহানের দাওয়াই কি একই হবে? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে বিভিন্ন মহলে