সন্দেশখালিতে সুকান্ত-ইস্যুতে ধাক্কা!
রাজ্য: গত বুধবার বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের সন্দেশখালি অভিযান ছিল । কিন্তু সেখানে যাওয়ার পথে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় পুলিশি বাধার মুখে পড়েন বিজেপি সাংসদ । রীতিমতো এই ঘটনাকে ঘিরে চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্ঠি হয়।সেই সময় হটাৎই গাড়ি থেকে পড়ে যান বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের।
এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।অভিযোগ ওঠে, সুকান্ত মজুমদার একজন সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও, তার ‘প্রিভিলেজে’ হস্তক্ষেপ করেছে পুলিশ। অভিযোগ আরও ওঠে, তাঁকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয়। তিনি আহত হওয়ার পর তাঁকে দেরি করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই প্রত্যেকটি বিষয় একজন সাংসদের স্বাধিকারকে লঙ্ঘন করে বলে অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগ তুলে লোকসভার সচিবালয় থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে একটি চিঠি যায়। চিঠিতে বলা হয়, সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের স্বাধিকার লঙ্ঘনের চেষ্টা হয়েছে। এই মর্মে রাজ্যের ডিজিপি রাজীব কুমার-সহ তিন পুলিশকর্তা তলব করা হয়। ডেকে পাঠানো হয় রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিক এবং উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক শরৎকুমার দ্বিবেদীকে।
এদিকে সোমবার সেই শুনানিতে, রাজ্যের মুখ্যসচিবের তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, “সন্দেশখালির ঘটনা একটা রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল। সেখানে একজন সাংসদের অধিকার ভঙ্গের কোথাও কোনও প্রশ্ন নেই। ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করা হচ্ছিল।” তিনি আরও সওয়াল করেন, “যে অভিযোগ করা হচ্ছে, অর্থাৎ সুকান্ত মজুমদারকে ধাক্কা দিয়ে গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে, তার প্রমাণ ভিডিয়োতে নেই। বরং ভিডিয়োতে যে অ্যাভিডেন্স পাওয়া গেছে, সুকান্ত মজুমদারই দলের এক কর্মী তাঁকে টেনে নামান। তাঁর ধাক্কাতেই কার্যত সুকান্ত মজুমদার পড়ে গিয়েছিলেন।” আইনজীবী কপিল সিব্বলের বক্তব্য, “যেদিন ঘটনা ঘটেছিল, ঘটনাস্থলে মুখ্যসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি, এসপি কেউই ছিলেন না। তাঁদের কেন এক্ষেত্রে তলব করা হয়েছে। এই বিষয়টি কোনওভাবেই প্রিভিলেজের আওতায় পড়ে না।”ফলে সন্দেশখালিতে সুকান্ত-ইস্যুতে সংসদীয় কমিটির তলবকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিললো রাজ্যের।
সোমবারের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সব পক্ষকে নোটিস ইস্যু করার নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে নোটিসের জবাব দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।