পূর্ব মেদিনীপুর

সমুদ্রের রূপলি শস্য ইলিশ ধরার উদ্দেশ্যে পাড়ি হাজার হাজার ট্রলারের

নিউজ বাংলা লাইভ : গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার উপর কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের জারি করা ৬১ দিনের ‘ব্যান পিরিয়ড’এর মেয়াদ শেষ হচ্ছে – আজ বুধবার রাত বারোটায়।গভীর রাত থেকেই সমুদ্রের রূপোালি শস্য ইলিশ ধরার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেবে হাজার হাজার মাছধরা ট্রলার, নৌকা সহ জলযান।

জেলার মৎস্য বন্দরগুলিতে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা তুঙ্গে।পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দীঘা মোহনা,শংকরপুর, শৌলা, পেটুয়াঘাট মৎস বন্দর ছাড়াও নন্দীগ্রাম, খেজুরির বিভিন্ন ঘাট থেকে রাত থেকে তিন হাজারের বেশি জলযান নিয়ে সারিবদ্ধভাবে গভীর সমুদ্রে যাবেন।কাঁথি মৎস্য দপ্তরের তথ্যানুযায়ী সমুদ্রে মাছ ধরতে যায় এমন নথিভূক্ত জলযানের সংখ্যা জেলায় ৩,৩৮৭টি। এরমধ্যে অল্প কিছু ট্রলার মালিক এখনো রেজিস্ট্রেশন নবীকরণের শংসাপত্র নেন নি। তাই ‘ব্যান পিরিয়ড’ শেষ হলেও সমস্ত ট্রলার আজই সমুদ্রে মাছ ধরতে না গেলেও কয়েক দিনের মধ্যে নবীকরণ করে যাবেন।পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সহ মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক) জয়ন্ত কুমার প্রধান জানিয়েছেন, ‘ব্যান পিরিয়ড’ শেষে অনেক ট্রলারই আজ রাতে মাছ ধরার জন্য সমুদ্রে পাড়ি দেবে।কিছু ট্রলার পর্যায়ক্রমে এক দুদিন পরে পাড়ি দেবে। আজ সারাদিন সমুদ্রে যাওয়ার জন্য মৎস্যজীবীরা শেষ বেলায় ট্রলারে পুজো,জাল, বরফ জল ইত্যাদি বোঝাই করে প্রস্তুতি নিয়েছেন। সমুদ্রে যাওয়ার আগে সরকারি নির্দেশ মেনে প্রত্যেক মৎস্যজীবীর পরিচয় পত্র, লাইফ জ্যাকেট সহ অন্যান্য নথিপত্র নিজেদের কাছে রাখতে হবে। সে বিষয়ে মৎস্যজীবীদের সতর্ক করতে ঘাটে ঘাটে প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সমস্ত ট্রলার এবং লঞ্চগুলিকে একই রং করা হয়েছে। গত কয়েক বছর লকডাউন, ইয়াস ঝড়ে ও সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাসের জেরে বেশ কিছু ট্রলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।ভেসে গিয়েছিল উপকূলবর্তী এলাকার মৎস্যজীবীদের বহু গ্রাম। দু’বছর ঘুরলেও এখনো সেই ক্ষত সম্পূর্ণ মেরামত হয়নি। সব বাধা পেরিয়ে প্রচুর পরিমাণ ইলিশ আমদানি হবে এই আশা নিয়ে সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার অপেক্ষায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হাজার হাজার মৎস্যজীবী।

দীঘা মোহনা ফিশারমেন ও ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস জানিয়েছেন

আজ গভীর রাত বারোটার পর কাঁথি মহকুমার বিভিন্ন ঘাট থেকে মাছের সন্ধানে ধীরে ধীরে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দেবে সমস্ত ট্রলার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *