Breakingব্রেকিং নিউজশীর্ষ খবর

সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির অর্থ তছরুপের ঘটনায়! ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ার গ্রেফতার

নিউজ বাংলা লাইভ: সিঙ্গুরের খাসেরচক চকগোবিন্দ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেড এ অর্থ তছরুপের ঘটনায় সমবায়ের ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ারকে গ্ৰেফতার করে তদন্ত শুরু করল সিঙ্গুর থানার পুলিশ। ডেপুটি রেজিস্ট্রার অফ্ কো অপারেটিভ সোসাইটি (DRCS) এর পক্ষ থেকে করা লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সমবায়ের ম্যানেজার সুখেন্দু দাস ও ক্যাশিয়ার কৌশিক অধিকারী কে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হুগলী জেলা গ্ৰামীন পুলিশ সুপার আমন দীপ

ধৃতদের বিরুদ্ধে সমবায়ের প্রায় ২ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা তছরূপের অভিযোগ রয়েছে।অন্যদিকে ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি ও তৃনমুলের মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।উল্লেখ্য সিঙ্গুরের গোপালনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার খাসেরচক চকগোবিন্দ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিঃ

এ দীর্ঘদিন ধরে গ্রাহকেরা তাদের জমানো টাকা না পেয়ে হয়রানি শিকার হচ্ছিলেন। তারপরেই সমবায়ে কোটি টাকা তছরুপের ঘটনা সামনে আসে। তৃনমুল পরিচালিত সমবায়ের পরিচালন সমিতির সেক্রেটারি অশোক কুমার দাস সমবায়ের ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে অর্থ তছরূপের অভিযোগ তোলেন। তারপর সমবায়ের ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ার অর্থ তছরুপের জন্য একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোপালনগর এলাকায় ক্রমেই মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে থাকে।গরিব মানুষের অর্থ ফিরিয়ে দেবার দাবিতে সমবায় চত্বরে পোস্টার লাগায় বাম কৃষক সংগঠন। পাশাপাশি কয়েকদিন আগে হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় সমবায় এলাকায় গিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে তাদের হয়রানির কথা শোনেন।।এমতাবস্থায় ডেপুটি রেজিস্ট্রার অফ্ কো অপারেটিভ সোসাইটি গত ১৬ই জুন সিঙ্গুর থানায় সমবায়ে দূর্নীতি নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের সূত্র ধরে পুলিশ সমবায়ের ম্যানেজার সুখেন্দু দাস ও ক্যাশিয়ার কৌশিক অধিকারী কে গ্রেফতার করে ২৭শে জুন চুঁচুড়া স্পেশাল আদালতে পাঠায় পুলিশ। পুলিশের আবেদনের ভিত্তিতে আদালত চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় । বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনায় আর কে কে যুক্ত আছে,তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।এ বিষয়ে হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশ সুপার আমন দীপ জানান, ডিআরসিএস থেকে একটা অভিযোগ করা হয় সমবায়ের ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ার প্রায় ২ কোটি ২৯ লক্ষ টাকার একটা গরমিল করেছে। তার প্রেক্ষিতে থানায় আই পি সি ৪০৬ ও ৪২০ধারায় একটি কেস শুরু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। কিভাবে তারা এত টাকা গরম মিল করলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে পাশাপাশি ঘটনায় আর কেউ যুক্ত আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে সমবায়ের এই ঘটনা নিয়ে সরাসরি রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি রাজ্যের গেরুয়া শিবির। সিঙ্গুরের বিজেপি নেতা মধুসূদন দাস জানান, এত বড় ঘটনায় শুধু ম্যানেজার আর ক্যাশিয়ার জড়িত এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। তৃণমূল পরিচালিত বোর্ড। একটা সিস্টেমে কাজ হয় সমবায়ে। বোর্ডের অনুমতি ছাড়া কোন কিছু পাশ হয় না। ভোট এসে গেছে বলে এদের গ্রেপ্তার করে দেখানো হচ্ছে আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে আছি। তাহলে এতদিন অ্যারেস্ট করা হয়নি কেন ? এই ঘটনায় আরো যারা পিছনে আছে সেই সমস্ত রাঘববোয়ালদের সামনে আনতে হবে। এবং যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের টাকা ফেরত দিতে হবে।।বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সিঙ্গুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি গোবিন্দ ধারা জানান

পরিচালন সমিতিকে অন্ধকারে রেখেই এইসব তছরূপ করা হয়েছে। এর সাথে বোর্ড কোনরকম ভাবে যুক্ত নয়। তদন্তে আইনি পথে যদি বোর্ডের কেউ জড়িত প্রমাণ হয় তখন সে সাজা পাবে। এতে দল কোনরূপ অন্যায়কে প্রশ্রয় দেবে না।এই বিষয়ে সমবায়ের পরিচালন সমিতির সেক্রেটারি অশোক কুমার দাসের বক্ত্যব নেওয়ার জন্য ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন প্রতিক্রিয়া দিতে রাজী হন নি।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *