জেলাপটাশপুরপূর্ব মেদিনীপুরব্রেকিং নিউজ

শীতের সকালে মিঠে রোদ পোহানোর সঙ্গেই গ্রামগঞ্জে চলছে নকসা বড়ি দেওয়া।

নিজস্ব প্রতিনিধি, পূর্ব মেদিনীপুর :: শীত পড়লেই গ্রামগঞ্জে দেখাযায় বাড়ির মা -ঠাকুমা ও বাড়ীর মহিলারা বড়ি দিতে ব‍্যস্ত। বাঙালি মানেই খাদ্যরসিক । আর বাঙালি খাদ্যরসিকের পাতে বড়ি থাকবে না তা কি হয় । বড়ির ঝাল থেকে শুরু করে মুচমুচে বড়ি ভাজা কি নেই বাঙালি পদে ৷ মশলা বড়ি, টোপা বড়ি বাঙালির খুবই প্রিয় । এছাড়াও আছে বিশেষ একধরনের উপাদেয় বড়ি ৷ এই বড়ি নকশাদার, ঠিক যেন গয়না ৷ নকশায় সোনার দুল, টায়রা, বাজুবন্ধ থাকে । তাই এই বড়ির নাম গয়না বড়ি বা নকশা বড়ি । আবার পাখি, ময়ূর, হাঁস, কিংবা বিভিন্ন প্রজাপতির আকৃতিও ফুটিয়ে তোলা হয় বড়ির মাধ্যমে । একটা সময়ে পূর্ব মেদিনীপুরের গয়না বড়ির সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা রাজ্যজুড়ে । শতাব্দী প্রাচীন কুটির শিল্প হিসাবে পরিচিতি অর্জন করেছে এই গহনা বড়ি বা নকশা বড়ি।

শীতের সকালে বারান্দা ও ছাদে মিঠে রোদ পোহানোর সঙ্গেই মা-ঠাকুমারা অসাধারণ নকশা তুলছেন বড়িতে এমনি চিত্র দেখা গেল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর ২ নং ব্লকের পঁচেট, চন্দনপুর, জয়কৃষ্নপুর, প্রতাপদিঘী, খাড়, নিমজা সহ বিভিন্ন গ্রামে

বিউলির ডাল পিষে পোস্তর উপর এই বড়ি দেওয়া হয় । কাপড়ের পুঁটুলির মধ্যে করে চোঙা (ফানেলের) মাধ্যমে পাটায় বা পিতলের থালাতে সুন্দর নকশা করা হয় । যা রোদে শুকালেই প্রস্তুত গয়না বড়ি।

সকালের মিঠে রোদে পোস্তর উপর গয়না বড়ি

হারিয়ে যেতে চলেছে শতাব্দী প্রাচীন শিল্পকলা গয়না বড়ি । অত্যন্ত পরিশ্রমের কাজ । ইদানীংকালে পোস্ত ও ডালের মূল্য যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে এই শিল্প বাঁচিয়ে রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *