পূর্ব মেদিনীপুরব্রেকিং নিউজ

শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকে বিজেপির বিক্ষোভ ডেপুটেশনে শুভেন্দু অধিকারী

শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকে বিজেপির বিক্ষোভ ডেপুটেশনে শুভেন্দু অধিকারী

নিজস্ব প্রতিনিধি , পূর্ব মেদিনীপুর:– রাজ্য সরকারের দুর্নীতি এবং ভুল নীতি ও সদিচ্ছার অভাবে রাজ্য জুড়ে কৃষকদের শোচনীয় অবস্থার জন্য কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার্থে বিঘাপ্রতি প্যাকেজ এবং কৃষিঋণ সহ একাধিক দাবি নিয়ে সারা রাজ্যে যেভাবে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিজেপি তার পাশাপাশি বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের মাতঙ্গিনী ব্লক এর চাঠরা বিডিও অফিসে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। এ বিক্ষোভ সমাবেশে কৃষকদের গলায় গামছা পরিয়ে সম্বর্ধনা জানায় শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি কৃষকদের স্বার্থে কৃষকদের কথা ভেবে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে কটাক্ষের সুরে বলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী কোথায় কোথায় দান করেন, ভাতা যার ভবিষ্যৎ এবং বর্তমানে ভাতা যার ভিত্তি তিনি উৎসবের সময় কোটি কোটি টাকা বিতরণ করেন কিন্তু তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে পারেন না। আমাদের দাবি ছিল অতি বর্ষণে আলু, ফুল, ধানচাষী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে পারেননি। শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রী কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন যদি থাকে তাহলে উনি কৃষকদের ঋণ মুকুব করে দিক, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ৩ লক্ষ টাকা ঋণ মুকুব করেছেন, তোর প্রদেশের শিবরাজ সিং চৌহান তিনি কৃষকদের ৫ লক্ষ টাকা ঋণ মুকুব করেছেন। দম থাকলে মুখ্যমন্ত্রীর আপনি পশ্চিম বাংলায় ৫ লক্ষ টাকা কৃষি ঋণ মুকুব করুন। ২০২০-২১ সালের আরটিআই রিপোর্ট আমরা পাঠিয়েছি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা যারা এখনো পাননি, তালিকায় নাম আছে কিন্তু টাকা দেয়নি তাদের বলছি আপনারা আমাদের মন্ডল সভাপতি দের জানান আমরা ব্যবস্থা নেব। ভারতবর্ষের কুড়িটা রাজ্যে সেচে চাষের জন্য বিদ্যুতের বিল মুকুব করা হয়েছে চাষীদের বিদ্যুৎ বিল দিতে হয় না। কিন্তু যে মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রাম এবং সিঙ্গুরের উপরে নির্ভর করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন, সেই মুখ্যমন্ত্রী কৃষকের কথা না ভেবে বিদ্যুত বিল যেখানে ২০১১ সালে ২ টাকা ইউনিট ছিল সেই জায়গায়  আজ ৮ টাকা করে দিয়েছে। এমনকি সারের কালো বাজারি এবং নিম্ন মানের বীজ দেওয়ার বিরুদ্ধে রাজ্য কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
আরও কটাক্ষ করে বলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী কম্পার্টমেন্টাল, আমার কাছে হেরে গিয়েছে দুবার ভোটে জিতে ওকে মুখ্যমন্ত্রী হতে হয়েছে আমি একবারই বাজিমাত করেছি। পাশাপাশি সভা চলাকালীন তামলুক মেছাদা রাস্তার উপর আঘাত করার জন্য পুলিশ কর্মী সমর্থকদের সরিয়ে দিচ্ছিলেন সেই সময় শুভেন্দু অধিকারী বলেন আমাদের দলের ছেলেরা ঠিক মতো সরিয়ে দেবে পুলিশের কথা কেউ শুনবে না ওরা দিদিমনির দলদাস এবং পা চাটা কথা কেউ শুনবেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *