Evergreenস্পেশাল

রাম মন্দিরের ২ হাজার ফুট নিচে লুকনো রয়েছে বিশেষ জিনিস! কি সেই বস্তু জানেন কি?

অযোধ্যার রাম মন্দির একটি বিতর্কিত জমি। দীর্ঘ বছরের আইনি জটিলতার পর আদালতের নির্দেশে এই বিতর্কিত জমিতে অবশেষে রাম মন্দির তৈরি হয়েছে।দেখতে দেখতে প্রায় একমাস গড়িয়েছে অযোধ্যার রাম মন্দির। গোটা দেশের মানুষের কাছে রাম মন্দির যেন আবেগ! আর সেই মন্দির কে ঘিরে কোনও কৌতুহল থাকবে না সে কি হয়!অযোধ্যার রাম মন্দির তৈরি করার সময় যেখানে মূল মন্দির তৈরি করা হয়েছে তার ২ হাজার ফুট মাটির নিচে পোঁতা হয়েছে একটি টাইম ক্যাপসুল। কি এই টাইম ক্যাপসুল? কেনই বা মাটির এত গভীরে মাটির পোঁতা হল টাইম ক্যাপসুল?বিষয়টি অনেকের কাছেই যেমন অজানা।আসুন তবে জেনে নিন রাম মন্দিরের টাইম ক্যাপসুলে কী রয়েছে এবং বিস্তারিত…..

টাইম ক্যাপসুল হল ইতিহাসকে ধরে রাখার একটি পদ্ধতি। আগেকার দিনেও এই পদ্ধতির প্রচলন ছিল। আগেকার দিনে বিভিন্ন বিষয় পুথি আকারে লিখে রাখার পর সেটি বোতলবন্দি করে রাখা হতো। টাইম ক্যাপসুলের ক্ষেত্রেও একই কাজ। টাইম ক্যাপসুলের মাধ্যমে কোন কিছুর ইতিহাস থেকে শুরু করে সমস্ত তথ্য সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে। যা বহুদিন পর্যন্ত যত্ন সহকারে সুরক্ষিত থাকে।

রাম মন্দিরের ক্ষেত্রেও একইভাবে ব্যবহার হয়েছে টাইম ক্যাপসুল।তাই এর জন্য টাইম ক্যাপসুল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তামার পাত দিয়ে তৈরি অনেকটা বোতলের মতো এই টাইম ক্যাপসুল তৈরি করা হয়েছে রাম মন্দিরের জন্য। যেখানে আদালতের রায় থেকে শুরু করে বিতর্কিত জমি সংক্রান্ত সমস্ত ইতিহাস ও নথি ক্যাপসুলে বন্দী করে মাটির ২ হাজার ফুট নিচে রাখা হয়েছে।

সময় বা যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কোন গুরুত্বপূর্ণ নথি নষ্ট হয়ে যেতেই পারে।দলিল, আদালতের নির্দেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি। এসব অতি যত্ন করে রাখা জরুরী। তাই টাইম ক্যাপসুলটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে এবং সেটি মাটির এতটাই নিচে পোঁতা হয়েছে, যা সহজেই নষ্ট হবে না অথবা নষ্ট করাও কঠিন। যদি আগামী দিনে আমাদের সমাজে বিভিন্ন পরিবর্তন আসে, যদি সভ্যতা বদলে যায়, তাহলেও যাতে রাম মন্দিরের নথি বিভিন্ন তথ্য কোনভাবেই হারিয়ে না যায়, নষ্ট না হয়, তাই ধরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই টাইম ক্যাপসুলটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে সেটি এক হাজার বছর পরেও অক্ষত থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *