জেলাব্রেকিং নিউজ

রাত পোহালেই লক্ষ্মীপুজো কারিগরদের লক্ষ্মী লাভের আশায় জল ঢালল নিম্নচাপ।

নিজস্ব প্রতিনিধি কেশিয়াড়ি,শান্তনু রায়

রাত পোহালেই লক্ষ্মী পুজা।কিছুটা লক্ষ্মী লাভের আশায় মাটির প্রতিমা গড়তে ব্যস্ত মৃতশিল্পীরা।তবে সেই আশায় জল ঢেলেছে কয়েকদিনের নাগাড়ে বৃষ্টি। বড় পুজো গুলিতে কিংবা সার্বজনীন পুজাতে একদিকে বাজেটে কাটছাট হয়েছে আর অন্যদিকে প্রতিটা দিন নাগাড়ে বৃষ্টি হয়েছে। ফলতঃ প্রতিমা গড়তে নাওয়া খাওয়া ভুলেছে শিল্পীরা।রাত জেগেও যে প্রতিমা সম্পুর্ন হবে সে আশায় জল ঢালা হয়েছে। নারায়ণগড়ের পরেশ পাত্র দুর্গা, লক্ষ্মী কালী সকল মূর্তি তৈরী করেন।২০২০ থেকে ডামাডোল পরিস্থিতিতে গোটাটা চললেও এবারে একটু আশাতেই ছিলেন শিল্পী। তবে বিশ্বকর্মা পুজার আগে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সর্বত্র।তার শিল্পীখানায়ও জল ঢুকে পড়েছিল।পরে দশভুজার আরাধনার আগেও একই পরিস্থিতি।ফের লক্ষ্মী পুজার বৃষ্টির ভ্রুকুটি।লক্ষ্মী পুজার দিন পর্যন্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। তবে হাতে গোনা কয়েকটা প্রতিমা গড়েছেন মৃৎশিল্পী পরেশ পাত্র। আবহাওয়ার উপর  নির্ভর করেই প্রতিমা তৈরি করতে হচ্ছে বলে জানান তিনি। মনঃপূত না হলেও মোটামুটি ভাবে মূর্তিগুলিকে তৈরি করে ডেলিভারি দিতে হবে এমনটাই জানালেন পরেশ পাত্র। কেশিয়াড়ী এলাকার মৃৎশিল্পী  কালিপদ আচার্য জানান, আবহাওয়া খারাপের কারণে এখনও প্রতিমা শুকোতে দেরী হচ্ছে। সঠিক সময়ে প্রতিমা দেওয়া মুস্কিল হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বেলদা, কেশিয়াড়ী, নারায়ণগড়, খাকুড়দা সহ বিভিন্ন এলাকায় সমস্ত মৃৎশিল্পীদের বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ডবল নিম্নচাপ। শিল্পীরা যে কটা মূর্তি তৈরী করেছেন , কোথাও খড়ের উপরে একবারই মাটির প্রলেপ পড়েছে,আবার কোথাও কিছুটা ব্লু হিট ল্যাল্প দিয়ে কাদামাটি শোকাচ্ছে শিল্পীরা। কাদা শুকিয়ে রং দিয়ে কি যথা সময়ে গৃহস্থের বাড়ি কিংবা মন্ডপে পৌঁছাবে ধনদেবী।আদৌ কি লক্ষ্মী লাভ হবে প্রশ্ন?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *