স্পেশাল

রসগোল্লা তুমি কার !

এই প্রশ্ন রসগোল্লা সৃষ্টি লগ্নের সময় ধরে, বাংলা ও উড়িষ্যার মধ্যে চলে আসছে। ভিন্ন ভিন্ন দাবি পাওয়া যায় এর উত্তরে। সেরকমই এক দাবি মতে, রসগোল্লার আদি উৎপত্তি বাংলাদেশের বরিশাল অঞ্চলে, সেখানে পিরোজ পুরের ভান্ডারীকায়, পর্তুগিজদের সময়ে দুধ ছানা গোলাকার করে এক ধরনের মিষ্টি তৈরি করতো ময়রারা। যার নাম দেওয়া হয়েছিল ক্ষীর মোহন বা রসগোল্লা। দেশভাগের পরে ময়রারা কিছু জন কলকাতায়, কিছু উড়িষ্যায় বিভক্ত হয়ে যায়। আবার এক উত্তরে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার ফুলিয়াতে, হারাধন ময়রা আদি রসগোল্লার প্রথম সৃষ্টিকর্তা।

এরপর কোলকাতার নবীনচন্দ্র দাস আধুনিক স্পঞ্জ রসগোল্লার আবিষ্কর্তা। এরপর ধীরে ধীরে কলকাতা থেকে কারিগর উড়িষ্যায় ছড়িয়ে পড়ে, এই দুটি মত ভিন্ন তথ্য থেকে জানা যায়। পুষ্টিগত দিক থেকে ১০০ গ্রাম রসগোল্লায় সাধারণত- 186 ক্যালরি শক্তি থাকে।যার মধ্যে ১৫৩ ক্যালোরি কার্বোহাইড্রেট আকারে থাকে, ১.৮৫ চর্বি এবং চার গ্রাম প্রোটিন থাকে। বাংলা সাহিত্যে রসগোল্লা নিয়ে রচিত সাহিত্যকর্ম লিখে সৈয়দ মুজতবা আলী যথেষ্ট সমাদৃত হয়েছেন দেশে-বিদেশে । এছাড়া ২০১৮ সালে নির্মিত রসগোল্লা সিনেমাটি, বাংলা ও বাঙালি সিনেমা প্রেমী, এবং রসগোল্লা মিষ্টি প্রেমীদের সামনে আরো অনেক তথ্য উন্মোচন করেছে।

আজ শুধু বাংলা বা ভারত নয়, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা বিভিন্ন এশিয়া উপমহাদেশে প্লাস্টিকের পাউচে করে এই রসোগোল্লা পাওয়া যায়। এমনকি ২০১৬ সালে ইসরো মহাকাশচারীদের জন্য মহাকাশে নিয়ে যাওয়ার জন্য রসগোল্লা ছাড়পত্র দিয়েছে। অবশেষে সৃষ্টি লগ্ন থেকে চলে আসা রসগোল্লা নিয়ে দড়ি টানাটানি পশ্চিমবঙ্গ ওড়িশা মধ্যে তার অবসান হয়েছে। ২০১৭ সালে রসগোল্লা পশ্চিমবঙ্গের, জি আই টেগ পেয়েছে যা “বাংলা রসগোল্লা” নামে সারা বিশ্বে পরিচয় লাভ করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *