কলকাতা

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই হাতিবাগান থেকে গরিয়াহাটে চলছে হকার সার্ভে ।

আমি হকারদের ভালোবাসি। কারোর কাজ চলে যাক এটা চাই না। নবান্ন থেকে তাই হকার উচ্ছেদ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ১ মাসের জন্য বন্ধ করা হয়েছে হকার উচ্ছেদ । তবে এই একমাস বসে থাকলে চলবে না কোন হকাররা সত্যিই পেটের তাগিদে ব্যবসা করছেন তা বাছাই করতে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের নির্দেশে আজ থেকে শুরু হয়েছে হকার সার্ভে করার কাজ।

কারা বৈধ এবং তারা অবৈধভাবে বসে রয়েছেন ফুটপাতে তা দেখা হচ্ছে। কলকাতা উত্তর থেকে কলকাতা দক্ষিণের বিভিন্ন রাস্তায় অলিতে গলিতে এবং সেতুর পাশে চলছে নিরীক্ষণ। এদের মেয়র পরিষদ পুনর্বাসন বিভাগ দেবাশীষ কুমার এবং ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় কাউন্সিলর সৌরভ বসু কলকাতা পুলিশের আধিকারিক নিয়ে গড়িয়াহাট মার্কেটে হকার সার্ভেতে নেমে পড়েন। প্রত্যেক হকারদের একটা করে ফরম তুলে দেওয়া হয় সেখানে যাবতীয় বিস্তারিত বিবরণ থাকবে। সেই তথ্য অনুযায়ী সার্ভে রিপোর্ট জমা পড়বে বলে জানান মেয়র পারিসদ তথার রাসবিহারী কেন্দ্রের বিধায়ক দেবাশীষ কুমার।

তিনি আরো জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যে নির্দেশ দিয়েছেন তা পালন করা হবে তবে উচ্ছেদ নয় হকারদের একটি সিস্টেমের মধ্যে রাখা হবে। যাতে শহরকে দৃষ্টি দূষণমুক্ত এবং যানজট মুক্ত করা হয়। কলকাতা পুলিশ পৌরসংস্থার আধিকারিক এবং আইটি দপ্তরের আধিকারিকরা গড়িয়া হাট মার্কেট সার্ভে করেন। বেআয়নী বহিরাগত হকারদের সরিয়ে দিতে হবে।

বিশেষ করে নিউ মার্কেট গড়িয়াহাট এবং হাতিবাগানের পরিস্থিতি নিয়ে বাড়তি পর্যালোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন দেবাশীষ কুমার। এছাড়া হাই পাওয়ার কমিটি রাজ্যের সমস্ত পৌর সংস্থার মেয়র ও চেয়ারম্যানদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অবিলম্বে বৈঠক করতে পারেন বলেও জানা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *