মালদাশীর্ষ খবর

মালদহের বিভিন্ন বাজারে রং পিচকারী মুখোশের বাহার নিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা

পার্থ ঝা,মালদা: বসন্ত উৎসবে মাতছে বাজার হাট, রং,পিচকারী ও মুখোশের বাহার। আর মাত্র দুটি দিন, তারপরেই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে ছেলেমেয়ে যুবক যুবতীরা সেজে উঠবে বসন্ত উৎসবে রঙিন রঙে রাঙিয়ে নৃত্যে গানে, আর আবিরের খেলায়। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের কথায়,’বসন্ত এসে গেছে’।

তাই রাজ্যের অন্যান্য অংশের নেয় মালদহের প্রত্যেকটা বাজারে জমে উঠেছে রংয়ের পসরা, পিচকারী, মুখোশের বাহার এবং রঙিন আবিরের সৌন্দর্যে। বিগত দু’বছর করোনার কারণে বাজার জমে নি। কিন্তু এবার জমে উঠেছে কেনাকাটা। বিক্রেতারা যেমন বিভিন্ন ধরনের পসরা নিয়ে বসেছেন তেমনি ক্রেতারাও তাদের পছন্দ অনুযায়ী জিনিস কিনছেন।

মালদহের রথবাড়ি বাজারে সুদূর উত্তর প্রদেশ থেকে আগত রং বিক্রেতারা চুটিয়ে বিভিন্ন রকমের রং বিক্রি করছেন। শুকনো গুড়ো জল দিলেই বিভিন্ন রঙে ফুটে উঠছে। তবে তারা আফসোস করলেন এখনো পর্যন্ত বাজার জমে ওঠেনি। তাদের আশা আগামীতে বাজার জমে উঠবে।

বিভিন্ন বাজারে ঘুরে জানা গেল ক্রেতা ও বিক্রেতাদের কিছু কথা। ক্রেতাদের একাংশের অভিমত এবারে রং,পিচকারী ও মুখোশের দাম একটু বেশি। আবার কেউ বলছেন জিনিসের দাম বেশি তো কি হয়েছে দুটো দিন আনন্দ করবো। জেলার এক প্রান্ত হবিবপুর ব্লকের নালাগোলা থেকে সুজন বিশ্বাস রথবাড়ি বাজারে এসেছেন রঙ কিনতে। তিনি জানালেন, এবারে রঙের দাম একটু বেশি। তা সত্ত্বেও ছেলেমেয়েদের মুখের দিকে তাকিয়ে কিছু রঙ কিনতে হচ্ছে।

মালদহ শহরের কৃষ্ণপল্লী থেকে কমলা সিংহ এসেছেন রং কিনতে। তিনি জানিয়েছেন দুটো দিন তো আনন্দ করবো। রঙের দাম বেশি হলেও কিনতেই হবে। রঙের বাজার এখনো জমেনি এটা ঠিকই রবিবার সোমবারের মধ্যেই বাজার জমবে। বিক্রেতাদের কাছে দেখা গেল কোথাও মুখোশ ও পিচকারির দাম দাম ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। আবার কোথাও ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা। এক কথায় বলা যায় বসন্ত উৎসবের আগে বাজার খুবই জমে উঠেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *