ব্রেকিং নিউজমালদা

মাদ্রাসায় ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভ,কাটমানি কন্যাশ্রীতেও ।

নিজস্ব প্রতিনিধি,হরিশ্চন্দ্রপুর,:শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরগরম বাংলা। একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসছে। ইতিমধ্যেই চাকরি বাতিল হয়েছে 269 জন প্রাথমিক শিক্ষকের।চলছে সিবিআই তদন্ত। ইতিমধ্যে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।এবার মাদ্রাসায় ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগে সরগরম মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর।লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি ছাত্রী না হলেও কাটমানি নিয়ে কন্যাশ্রী প্রকল্পে নাম ঢোকানো হয়েছে। মিড-ডে মিলেও চলছে দুর্নীতি। এমনই একাধিক অভিযোগে মাদ্রাসা ঘেরাও করে বাসিন্দাদের বিক্ষোভে তেতে উঠল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের মিলনগড়। সোমবার সকাল থেকেই কয়েক হাজার মানুষ মিলনগড় সাজ্জাদিয়া হাই মাদ্রাসা ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন।মাদ্রাসার পরিচালন সমিতি রয়েছে কংগ্রেসের দখলে।স্থানীয়দের ওই বিক্ষোভে হাজির ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষও।মাদ্রাসা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ওই মাদ্রাসায় ছ’জন শিক্ষককে নিয়োগ করা হয়। তাঁরা মাদ্রাসায় কাজ করেছেন (অর্গ্যানাইজ) দেখিয়ে আদালতে মামলা করে ঘুরপথে তাঁদের কমিটি নিয়োগ করেছে বলে অভিযোগ। এ ছাড়া গত ছ’বছর ধরে সেখানে নির্বাচন হয়নি। ফলে বর্তমান কমিটি অবৈধ বলেও বিক্ষোভকারীদের দাবি। স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, উচ্চ মাধ্যমিক ওই মাদ্রাসায় পড়ুয়ার সংখ্যায় প্রায় ১৮০০। সরকারি বিধি না মেনে তাদের কাছ থেকে বাড়তি ফি আদায় করা হচ্ছে। যার কোনও হিসেব নেই। মিড-ডে মিলের টাকাও নয়ছয় করা হচ্ছে।কমিটির সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক যোগসাজসে দুর্নীতি করছেন বলে অভিযোগ।হরিশ্চন্দ্রপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মনিরুল আলম বলেন, “স্থানীয় শিক্ষানুরাগীরাই এ দিন বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। আমি তাদের পাশে ছিলাম। মাদ্রাসা কমিশন নিয়োগ না করলেও এখানে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। অন্তত ২৫ জনের কাছে থেকে ১০ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। বিবাহিতরাও কাটমানি দিয়ে কন্যাশ্রী পেয়েছে। বিষয়টি বিডিওর পাশাপাশি জেলা প্রশাসনকে জানাচ্ছি।”পরিচালন সমিতির সম্পাদক মহম্মদ শামসুল হক বলেন, “সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে।”ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গির আলম বলেন, “মিড-ডে মিল, কন্যাশ্রী নিয়ে অভিযোগ মিথ্যে। নিয়োগ হয়েছে আদালতের নির্দেশে। ফলে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।”কড়িয়ালি চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম বলেন, “লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে বিষয়টি শুনেছি। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *