মরনোত্তর চক্ষুদান
নিউজ বাংলা লাইভ : দেশে প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ কর্নিয়াজনিত সমস্যার কারণে অন্ধত্ববরণ করছেন।এরূপ অন্ধত্বের ক্ষেত্রে মানব কর্নিয়া প্রতিস্থাপনই একমাত্র চিকিৎসা।এক্ষেত্রে মরণোত্তর চক্ষুদান করে এলাকাবাসীকে উৎসাহিত করে গেলেন লাউদা গ্ৰাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পশ্চিম কামারদা গ্ৰাম নিবাসী রতন মাইতি।
বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ পরলোক গমন করেন। কিন্তু মৃত্যুর পূর্বে তিনি মরণোত্তর চক্ষুদানের ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু কোথায় কিভাবে যোগাযোগ করবেন উপায়ান্তর না পেয়ে অবশেষে পরিবারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা বনমালীচট্টা হাইস্কুলের শিক্ষক অজয় গিরির সঙ্গে।খবর পেয়েই অজয় বাবু যোগাযোগ করেন চৈতন্যপুর নেত্র নিরাময় হাসপাতালের সঙ্গে।এক্ষেত্রে সহযোগিতা করেন কাঁথির ফেয়ার ফিল্ড এক্সেলেন্স ও কলকাতার বেটার লাইফ ফাউন্ডেশন। অবশেষে বিকেল পাঁচটা নাগাদ নেত্র নিরাময় কেন্দ্রের ডাক্তারবাবুরা এসে রতন বাবুর চোখের কর্নিয়া দুটি সংগ্ৰহ করেন। পুরো ঘটনা চাক্ষুষ করতে পার্শ্ববর্তী গ্ৰামের বহু মানুষ রতন বাবুর বাড়িতে ভিড় জমায়। শোকস্তব্ধ রতন বাবুর ছেলে সুদর্শন মাইতি,বাবার শেষ ইচ্ছে পূরণ হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। এদিন শম্ভুরাম জানা,পীযূষ কান্তি প্রধান সহ বহু এলাকাবাসীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ফেয়ার ফিল্ড এক্সেলেন্সের তেহরান হোসেন,সুনীল দাস,বেটার লাইফ ফাউন্ডেশনের শুভঙ্কর ভট্টাচার্য,বিষ্ণুপদ রায় প্রমুখ। মরনোত্তর চক্ষুদানের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে এলাকাবাসীকে এগিয়ে আসতে উৎসাহিত করেন শিক্ষক অজয় গিরি।