পূর্ব মেদিনীপুরবিনোদনময়না

ময়নায় রাখী তৈরির মাধ্যমে একাধিক পরিবার অর্থনৈতিক ভাবে আয়ের মুখ দেখছেন।

নিজস্ব প্রতিনিধি, ময়না : আর মাত্র কয়েকটা দিন পরেই রাখীবন্ধন উৎসব।রাখী বন্ধনের দিনে রঙিন সূতো হাতে বেঁধে সৌভাতৃত্বের বন্ধন যাতে অটুট থাকে সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই হয়ে থাকো। বর্তমানে রঙিন সূতোর রাখী কত উন্নততর করা যায় সেই বা কত নতুন নতুন ডিজাইনের রাখী করা যায় সে বিষয়ে রাখী শিল্পী বা প্রস্তুতকারীরা বাজারে আনার চেষ্টা করেন।মূলত বহু মানুষের বছরের বেশ কয়েকমাস রুটিরুজীর অনলম্বন হয়ে থাকে অসংখ্য পরিবারের।এমনি একব্যক্তি যিনি প্রতিবছর পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার বলাইপন্ডায় রাখীর পসরা বসিয়ে নিত্যনতুন রাখী বাজারে আনেন সেই ব্যক্তির নাম নিমাই চাঁদ মাইতি।দীর্ঘ আঠারো বছর রাখী প্রস্তুত করেন।এই রাখী শুধু মাত্র পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন বাজারে নয় পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুর ও হাওড়া জেলায় সরবারহ করেন তার এই রাখী।নিমাই বাবু জানান,তাঁর বাড়ি পার্শ্ববর্তী জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং এর রানীচক গ্রামে।সেখানে বাড়িতে প্রস্তুত হয় রাখী।রাখী উৎসবের ৬ থেকে ৮ মাস আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়। প্রায় ১৩০ জন কারিগর রাখী প্রস্তুতির কাজে নিযুক্ত থাকেন।প্রতিদিন গড়ে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত প্রতি একশো রাখী প্রস্তুত করে অর্থ উপার্জন করেন কারিগরেরা।সব মিলিয়ে শুধু নিমাই বাবুর কাছে রাখী তৈরী করে এতগুলো মানুষ অর্থ উপার্জন করে থাকেন।একদিকে তিনি যেমন এই রাখী ব্যবসায় সমৃদ্ধ হচ্ছেন পাশাপাশি একাধিক পরিবারও অর্থনৈত্যিক ভাবে আয়ের মুখ দেখছেন।সামনেই রাখী বন্ধন উৎসব।তাই চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতির কাজ।পাশাপাশি বিক্রিও শুরু হয়েছে রাখী বাজারে।সব মিলিয়ে একপ্রকার নাওয়া- খাওয়া বন্ধ করেই চলছে রাখী প্রস্তুতির কাজ। তবে গত কয়েক বছর কোভিড থাকার কারনে রাখীর বাজার ছিলো মন্দা কিছুটা।তবে এবছর বিক্রিবাটা শুরু হয়েছে।আশা জেগেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যেও।রাখীর বাজার এবছর ভালোই যাবে এমনটাই আশা প্রকাশ করছেন রাখীপ্রস্তুতকারীরা।ময়নার বলাইপন্ডা বাজারেও রাখীর ১৫ দিন আগে থেকেই ভালো রাখী বিক্রি শুরু হয়েছে ভালোই,এমনটাই জানান রাখী প্রস্তুতকারী নিমাই চাঁদ মাইতি।তিনি এও বলেন প্রতিবছর বিভিন্ন নতুন নতুন আইটেমে রাখী প্রস্তুত করেছেন।কখনও মমতার রাখী,কখনও মোদীর রাখী,কখনও পরিবেশ সচেতনতার ওপরেও।তবে এবছর বাচ্চাদের বিভিন্ন কার্টুনের ওপর রাখী বেশী চলছে বলে জানান নিমাই বাবু।সবমিলিয়ে কোভিড ১৯ এর ভীতি কাটিয়ে এখন মানুষ কিছুটা স্বস্তিতে ফিরেছে।তাই রাখী উৎসবটাও যে বাঙালীরা খুশিতে কাটাবে সে বিষয়ে সন্দেহ নেই,এমনটাই আশা রাখী বিক্রেতাদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *