পূর্ব মেদিনীপুরমংলামাড়ো

মংলামাড়ো ঐকতান ক্লাবের উদ্যেগে মেলা প্রাঙ্গনে গণ বিবাহ অনুষ্ঠিত হল।

পূর্ব মেদিনীপুর: জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সমাজের অবহেলিত নিপিড়িত এবং দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস কারী যুবক যুবতীদের গণ বিবাহ অনুষ্ঠিত হল। গণবিবাহ অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় মংলামাড়ো মেলা প্রাঙ্গণ । মংলামাড়ো ঐকতান ক্লাবের উদ্যেগে এই গণ বিবাহ(Mass Marraige) অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।এই অনুষ্ঠানটির শুভ সূচনা করেন পালপাড়া কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ তুষার চক্রবর্তী।উপস্থিত ছিলেন মেলা কমিটির চেয়ারম্যান তথা পটাশপুর ১ ব্লকের প্রাক্তন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সেক আব্দুল আহাদ আলি, মেলা কমিটির সম্পাদক তথা ব্লকের প্রাক্তন কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মুক্তি রঞ্জন বেরা, সভাপতি অভিজিৎ পড়্যা।

সমাজের পিছিয়ে পড়া বা দারিদ্রতার কারণে মেয়ের বিয়ে দিতে গিয়ে অনেক সময় আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় পিতামাতাদের। তাই বলে কি মেয়ের বিয়ে দেবেন না তার পিতা মাতারা। তাই পটাশপুর এর প্রত্যন্ত গ্রামের দরিদ্র পিতামাতার চোখের জল মুছিয়ে দিতে গণবিবাহের আয়োজন করলো মংলা মারো ওঐকতান ক্লাব। ২৩ শে জানুয়ারি থেকে ৩১ শে জানুয়ারি পর্যন্ত ৯ দিন ব্যাপী মংলামাড়ো মেলার সাথে অষ্টম দিনে এই গণবিবাহ উত্‍সব অনুষ্ঠিত হয়। এবছর বিবাহ হয় ডেবরা থানা এলাকার সত্যপুর গ্রামের পাত্র শম্ভু কিস্কু-র সঙ্গে চকরাধা বল্লভ গ্রামের কন্যা অনিমা হালদার, অন্যদিকে পটাশপুর থানা এলাকার পাহাড়পুর গ্রামের পাত্র স্বপন সামন্তে-র সঙ্গে ব্রজলালপুর গ্রামের পাত্রী পূর্ণিমা দাসের বিবাহ হয়, এছাড়াও পিংলা থানা এলাকার চাহাত গ্রামের পাত্র বিকাশ সরে-এর সঙ্গে ডেবরা থানা এলাকার চকরাধা বল্লভ গ্রামের পাত্রী পার্বতী হেমরম-এর বিবাহ হয়।

মেলা কমিটির চেয়ারম্যান শেক আব্দুল আহাদ আলী কথায়, গত বছর ২ জোড়া পাত্র পাত্রীর পর এই বছর ৩ জোড়া আদিবাসী পাত্র পাত্রীর বিবাহের আসর বসে।“সম্মন্ধ করবেন আপনারা এবং বিবাহ দেবো আমরা” অর্থাত্‍ দারিদ্রসীমার নিচে থাকা পিতা মাতারা তাদের কন্যার সম্মন্ধ ঠিক করে আসলেই তাঁদের বিবাহের ব্যবস্থা করে দেবে মংলামাড়ো ঐকতান ক্লাব। তবে পাত্র এবং পাত্রী উভয়কেই হতে হবে বিবাহ যোগ্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *