Breakingঝাড়গ্রামরাজনীতি

ভোটের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেল শাসক দল তৃনমূল

নিউজ বাংলা লাইভ : ভোটের আগেই সাঁকরাইল ব্লকে বড় জয় পেল শাসক দল তৃণমূল,ব্লকের ১০ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ২ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ৫ টি পঞ্চায়েত সমিতির আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দখল করল তৃনমূল।বৃহস্পতিবার ছিল রাজ্যের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন।শেষ দিনে ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে বিরোধী দলের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিলেও শাসক দলের প্রার্থী ছাড়া অন্য কোন দলের প্রার্থীর মনোনয়ন জমা পড়ল নাম সাঁকরাইল ব্লকের রগড়া এবং আন্ধারী অঞ্চলের গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির আসনে।স্বাভাবিক ভাবেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শাসক দলের দখলে দুটি অঞ্চল। জানা গিয়েছে,রগড়া অঞ্চলের ১২ টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসন ও তিনটি পঞ্চায়েত সমিতির আসন রয়েছে। অন্যদিকে আন্ধারী অঞ্চলের ৯ টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও দুটি পঞ্চায়েত সমিতির আসন রয়েছে।কিন্তু শেষ পর্যন্ত সবকটি আসনে বিরোধী দলের কোন প্রার্থীপদ জমা পড়েনি। স্বাভাবিক ভাবেই উৎফুল্লে শাসক দলের নেতা কর্মীরা। সাঁকরাইল ব্লক তৃণমূলের সভাপতি কমলকান্ত রাউৎ বলেন,২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাঁকরাইল ব্লকের দশটি অঞ্চলের মধ্যে পাঁচটিতে ক্ষমতায় ছিল বিজেপি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ঝাড়গ্রামের সাংসদ নির্বাচিত হয় বিজেপি। তারপর লাগাতার সন্ত্রাস অত্যাচার চালিয়ে যায় বিজেপির নেতা ও কর্মীরা।যা মানুষ ভালো চোখে মেনে নেয়নি,তাই ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করে তৃণমূল কংগ্রেসকে পুনরায় জঙ্গলমহলে প্রতিষ্ঠা করে।তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনে রগড়া ও আন্ধারি অঞ্চলে বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম সহ অন্যান্য রাজনীতির দল গুলি প্রার্থী দিতে পারেনি।কারণ মানুষ ওদের পাশে নেই।তাই ওই দুটি অঞ্চলে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছে।বাকি ৮ টি অঞ্চলে সমস্ত রাজনীতির দল প্রার্থী দিয়েছেন বলে তিনি জানান।কোথাও আবার এক একটি আসনে পাঁচ থেকে সাত জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।যদি তৃণমূল কংগ্রেস বাধা দিতো তাহলে ওই ৮ টি গ্রাম পঞ্চায়েতে কেউ মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারত না। তৃণমূল কংগ্রেস শান্তি ও উন্নয়ন ছাড়া অন্য কিছু চায়না। সাঁকরাইল ব্লকের কোথাও কোন গন্ডগোলের ঘটনা ঘটেনি। শান্তিপূর্ণভাবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি কোন অভিযোগ করতে পারবে না যে তৃণমূল কংগ্রেস কোথাও কাউকে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে বাধা দিয়েছে। কিন্তু মানুষ ওই দুটি অঞ্চলে তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া অন্য কাউকে চাইনি তাই বুঝতে পেরে বিজেপি ও বামেরা ওই এলাকায় কোন প্রার্থী দেয়নি। তাই দুটি অঞ্চলের সর্বস্তরের মানুষকে তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে থাকার জন্য তিনি অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। সেই সঙ্গে তিনি বলেন কোন আনন্দ, উল্লাস নয়, মানুষকে সঙ্গে নিয়ে মানুষের পাশে থেকে আমাদের কাজ করতে হবে। যে আটটি অঞ্চলে নির্বাচন হবে সেই আটটি অঞ্চলে তৃণমূল কংগ্রেস ভালো ফল করবে বলে তিনি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *