ব্রেকিং নিউজমালদা

বিহারের ধান বাংলায় সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্রে বিক্রি হচ্ছে,লক্ষ লক্ষ টাকা মুনাফা অর্জন করছে ফড়েরা,বঞ্চিত বাংলার প্রান্তিক চাষীরা,প্রতিবাদ করতে গিয়ে মাথা ফাটল এক চাষির

পার্থ ঝা,মালদা;

নিজস্ব প্রতিনিধি ,সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্রে ফড়েদের দৌরাত্ম্যে মাথা ফাটল এক চাষির।উত্তপ্ত হরিশ্চন্দ্রপুরের তুলসীহাটা কিষান মান্ডি।বিক্ষোভ বঞ্চিত কৃষকদের।ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ ও বিধায়ক তজমুল হোসেন। পুলিশের তৎপরতায় নিয়ন্ত্রণ হয় পরিস্থিতি।

জানা যায় বৃহস্পতিবার তুলসীহাটা ধান ক্রয় কেন্দ্রে ধান বিক্রির জন্য ভোর থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন চাষিরা। অপরদিকে ফড়েরা ভারাটে মজুরদেরকে একদিন আগে থেকেই লাইনে দাঁড় করিয়ে রেখেছে।এতে ধান বিক্রি করতে বঞ্চিত হচ্ছে প্রকৃত কৃষকরা। প্রতিবাদ করতে গিয়েই ফড়েদের সঙ্গে চাষিদের বচসা। এতে মাথা ফাটে রাড়িয়াল গ্রামের এক চাষি মহম্মদ শাহাজাহানের।

চাষিদের অভিযোগ তুলসীহাটা সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্রটি ফড়েদের কবজায়।ধান বিক্রি করতে বঞ্চিত হচ্ছে প্রকৃত কৃষকরা।ফড়েদের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরে ধান বিক্রি না করেই বাড়ি ফিরে আসতে হচ্ছে চাষিদের।

ফড়েদের সঙ্গে ধান ক্রয় কেন্দ্রের আধিকারিকের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। টাকার বিনিময়ে একেকজন ফড়ে দিনে পাঁচ থেকে ছয়টি কার্ডে ধান বিক্রি করছে।অপরদিকে চাষিরা একটি কার্ডেও ধান বিক্রি করতে পারছে না।

ফড়েরা গ্ৰামে গ্রামে ঘুরে চাষিদের আঁধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও ব্যাংকের পাসবুক হাজার টাকার বিনিময়ে হাতিয়ে নিয়েছে এবং সেই চাষির নামে কার্ড বানিয়ে রেখেছে।সন্ধ্যা হতেই গ্রামের মহিলাদের ৫০০ টাকার বিনিময়ে ভাড়া করে ভুয়ো চাষি বানিয়ে ধান ক্রয় কেন্দ্রে লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখে।সকাল হতেই তারা আবার বাড়ি ফিরে চলে আসে।এর পরিবর্তে কার্ডধারি চাষিকে আবার লাইনে দাঁড় করিয়ে ধান বিক্রির তারিখ নিয়ে নেয়।এরপর তারা বিহার থেকে সস্তা দামে ধান ক্রয় করে এখানে সরকারি দামে ১৯৬০ টাকা কুইন্টাল দরে ধান বিক্রি করে মুনাফা অর্জন করছে।

এব্যাপারে কৃষি আধিকারিক দীপঙ্কর শিকদার কিছু ই বলতে চাননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *