মালদাশীর্ষ খবর

বিদ্যালয়ের মজুদ চালে টিকটিকি-ইঁদুর! শাস্তি প্রদানে কড়া ব্যবস্থা প্রশাসনের

নিজস্ব প্রতিনিধি, চাঁচল: মিড ডে মিলের মজুদ করা চালে মরা টিকটিকি এবং ইঁদুর উদ্ধারের ঘটনায় স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, সাব ইন্সপেক্টর অফ স্কুলকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ শিক্ষা দপ্তরের। চাকরি থেকে রিমুভ করার নির্দেশ, চুক্তিভিত্তিক কর্মী এডুকেশন সুপারভাইজার স্বপ্না সরকার কে। ঘটনাটি মালদহের চাঁচোলের শাউরগাছি বিদ্যানন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা।

উল্লেখ্য,বুধবার মালদার চাঁচোলের বিদ্যানন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের মজুদ করা চালে উদ্ধার হয় মরা টিকটিকি এবং ইঁদুর। এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। প্রধান শিক্ষককে ঘিরে রেখে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দা এবং অভিভাবকেরা। এই ঘটনায় বিডিওর নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেন মালদহের জেলা শাসক নিতিন সিংহানিয়া। প্রাথমিক তদন্তে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায়, বিদ্যানন্দ পুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উজ্জ্বল কুমার সাহা রায় এবং খরবা দুই নম্বর সার্কেলের সাব-ইন্সপেক্টর অফ স্কুল আব্দুল হানিফকে সাসপেন্ড এবং চুক্তিভিত্তিক কর্মী সপ্না সরকারকে চাকরি থেকে ডিসমিস করার জন্য শিক্ষা দপ্তর কে সুপারিশ করে মালদহের জেলাশাসক। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে দুজনকে সাসপেন্ড এবং একজনকে চাকরি থেকে ডিসমিস করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দপ্তর। গতকাল রাত্রে এই নির্দেশ আসার পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। শিক্ষা দপ্তরের এই নির্দেশকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অভিভাবক থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা। বিদ্যানন্দপুর প্রাথমিক স্কুলের অভিভাবক আকবর আলী জানিয়েছেন, প্রশাসন যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ আরো দুইজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের আরো শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।

শিশুদের মিড ডে মিলে মরা ইঁদুর ও টিকটিকি উদ্ধারের ঘটনায় প্রধান শিক্ষক সহ তিনজনকে বরখাস্তের ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতোর। মালদা উত্তরের বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক রতন দাস অভিযোগ করে বলেন, চুনোপটিদের পাশাপাশি রাঘববোয়ালদের ধরতে হবে। শিশুদের খাবারের মিড ডে মিলের গুণগত মান নিয়ে সরব হয়েছেন আমাদের রাজ্যের বিরোধী দলনেতাও। শিশুদের মিড ডে মিল নিয়ে কেনো ছেলেখেলা, আমরা কোনভাবে এটা বরদাস্ত করব না। এই ঘটনায় জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি হয়েছে।

যদিও বিজেপির এই অভিযোগ কে কটাক্ষ ছুড়েছে তৃণমূল। মালদা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন জানান, অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছিল জেলা প্রশাসন, অভিযোগ প্রমাণিত হবার পরেই ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।এখানে রাঘববোয়াল আড়ালের কিছু ব্যাপার নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *