বিদ্যাদেবীর আরাধনায় ঐতিহ্যবাহী বনমালীচট্টা হাইস্কুলে বিজ্ঞান মডেল প্রদর্শনী।
পূর্ব মেদিনীপুর: সরস্বতী পূজো মানেই শুধু সেজেগুজে ঘুরে বেড়ানো নয়, সত্যিকারের সরস্বতী আরাধনা যে নতুন কিছু শেখার মধ্যে দিয়েই হতে পারে সেটাই তুলে ধরলো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি ৩ ব্লকের ঐতিহ্যবাহী বনমালীচট্টা হাইস্কুল। বুধবার বিকেলে স্কুলের পূজো দেখতে আসা অসংখ্য স্কুল পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকরা দেখলেন এই স্কুলের পড়ুয়ারা সাধারণ জীবনে বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে কতো সহজে বিভিন্ন মডেল তৈরি করেছে। কেউ তৈরি করেছে আবহাওয়ার আদ্রতা জানার সহজ পদ্ধতি, কেউবা কয়েকটি বৃত্তের সাহায্যে সাধারণ যোগ বিয়োগ গুণ ভাগের সহজ পদ্ধতি। এরকমই অসংখ্য মডেল নিয়ে হাজির স্কুলের ছাত্ররা।
এই মডেল প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সদ্য অবসরপ্রাপ্ত সহপ্রধান শিক্ষক রমনী কান্ত পাত্র। স্কুলেরই প্রাক্তন ছাত্র অনিন্দ্য দাস কিভাবে উদ্ভাবন ও মেধাস্বত্বকে কাজে লাগিয়ে এবছর ভারতবর্ষের বিজ্ঞানে সর্বোচ্চ পুরস্কার ভাটনগর অ্যাওয়ার্ড পেলেন তারই বিভিন্ন অজানা দিক উল্লেখ করে বর্তমান ছাত্রদের উৎসাহিত করেন তিনি। স্কুলে পড়তে গিয়ে বিজ্ঞানের বিষয়গুলি অনেক পড়ুয়ার কাছে রসহীন মনে হয়। বিজ্ঞান বিষয়ে তাদেরকে উৎসাহিত করতে এমনই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এই প্রদর্শনীর দায়িত্বে থাকা শিক্ষক অজয় কুমার গিরি।
এদিনের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিচালন সমিতির সভাপতি শুকদেব জানা, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গৌতম কর, ডঃ দেবব্রত মাইতি, অশোক বর্মন, গোপাল কৃষ্ণ দীক্ষিত, শ্রীকৃষ্ণ ভূঁইয়া, সৌম্য স্নিগ্ধ জানা, ব্রীজেশ দাস প্রমুখ।