শীর্ষ খবর

বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির হাতে আজ আর্থিক সহায়তা এবং চাকরির অঙ্গীকারপত্র তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী

নিউজ বাংলা লাইভ: বালেশ্বরের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী রাজ্যের ১০৩ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৮৬ জনের মৃতদেহ রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ৪০-৫০ জন এখনো নিখোঁজ। গুরুতর আহত হয়েছেন ১৭২ জন। তাদের মধ্যে তিনজনের হাত পা চোখের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গহানি হয়েছে। অল্প বিস্তর আহত হয়েছেন ৬৩৫ জন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আজ এ ধরনের বেশকিছু পরিবারের হাতে অর্থ সাহায্য এবং সরকারী সুযোগ-সুবিধা তুলে দেন। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে শ্রম দফতর আয়োজিত অনুষ্ঠানে নিহত ও অঙ্গহানি হওয়া যাত্রীদের ৩১টি পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে, এবং পরিবারের একজনকে স্পেশাল হোম গার্ডের চাকরি দেওয়ার অঙ্গীকার পত্র দেওয়া হয়। এছাড়াও সংসার চালানোর জন্য তাদের এককালীন ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। আগামী তিন মাস তাদের আরো দু হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। গুরুতর আহত ১৭২ জনকে এক লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ছাড়াও ১০ হাজার টাকা এককালীন অর্থ সাহায্য করা হয়েছে। তারাও আগামী তিন মাস সরকারের কাছ থেকে দু হাজার টাকা করে পাবেন। অল্প আহত ৬৩৫ জনকে ৫০ হাজার টাকা করে এবং সংসার চালানোর খরচ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই দুর্ঘটনার কবলে পড়া ৭৯৯ জন পরিযায়ী শ্রমিককেও সংসার খরচ দেওয়া হবে। এই খাতে রাজ্যের কোষাগার থেকে মোট খরচ হচ্ছে ১০ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকার বেশি।

এছাড়াও দুর্ঘটনাগ্রস্থ পরিবার গুলির পাশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ইতমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ৫০টি ছেলে ও ৫০ টি মেয়ের পড়াশোনার খরচ চালানোর ভার সরকার গ্রহণ করেছে। অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার থেকে কেউ আবেদন জানালেও তা বিবেচনা করা হবে। যেসব মানুষ পেশাগত কারণে ওই ট্রেনে ভিন রাজ্যে যাচ্ছিলেন তারা যাতে নিজের এলাকায় কাজ পান তা নিশ্চিত করতেও প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দুর্ঘটনাগ্রস্ত পরিবারের মহিলাদের আশা কর্মী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখতে তিনি নারী শিশু ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা কে নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন আগামী দিনেও সরকার সব রকম ভাবে দুর্ঘটনাগ্রস্ত পরিবার গুলির পাশে থাকবে। এইসব পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার জন্য আগামী ৬ মাস প্রত্যেক জেলায় নিযুক্ত থাকবেন একজন করে নোডাল অফিসার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *