শ্রীকৃষ্ণ মাইতি, পূর্ব মেদিনীপুর:: “প্রদীপের নিচে অন্ধকার”।এই বাক্যটির প্রকৃত উদাহরণ হাজারো প্রতিকূলতা সত্বেও কোন রকমে নিজেদের প্রাচীণ ও ঐতিহ্যময় পেশা আগলে বেঁচে রয়েছেন এক শ্রেণীর মৃৎশিল্পীরা। দীর্ঘদিন করোনার থাবাতে, অন্যদিকে টানা বৃষ্টির জেরে ব্যবসায় টান মৃৎ শিল্পিদের। গত দূর্গাপুজা বা লক্ষ্মী পুজাতেও লক্ষ্মী সদয় হয়নি তাদের বলে জানান তারা। সামনেই কালীপুজো অর্থাৎ আলোর উৎসব দীপাবলি। তাই জোর কদমে প্রদীপ সহ নানা মাটির তৈরীর কাজে নেমেছেন তারা। বন্যা এবং লাগাতর বৃষ্টির দিনগুলো কাটিয়ে কেমন আছেন মৃৎশিল্পীরা? তা দেখতেই আমরা গিয়েছিলাম পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমারের ঠেকুয়াচক বাজার এলাকার মৃৎশিল্পীদের কাছে। এখানকার মৃৎশিল্পীরা মাটির হাঁড়ি, কলসী তৈরীর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের প্রদীপ, ধূনোচুর, সরা, টব ইত্যাদি তৈরী করেই জীবিকা নির্বাহ করেন। এখানকার মৃৎশিল্পী আশিষ পাল বলেন, এবছর পূজোর মরশুমে খুব মন্দা যাচ্ছে। কারণ বন্যা হয়েছে এবং বৃষ্টির জেরে মাল তৈরি করে শুকনোর অসুবিধা হয়েছে। সেই জন্যে পূজোতে ভালো যাচ্ছে না। ভালো অর্ডার নেই। এই শিল্পের উপর সংসার চলে। খুব কষ্টের মধ্যে রয়ছি। এবং আর এক শিল্পী সুদর্শন পাল বলেন, প্রতিবছর পূজোর আগে প্রচুর অর্ডার আসে।কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে এবং বৃষ্টির জেরে সেভাবে অর্ডার নেই এখন। খুব চিন্তায় রয়েছি আমরা। সবমিলিয়ে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে জীবনধারণ করছেন তাঁরা।