নন্দীগ্রামপূর্ব মেদিনীপুর

পুজো কমিটির বিরুদ্ধে স্কুলের মিড ডে মিল বন্ধের অভিযোগ, থানায় অভিযোগ দায়ের, শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা!

পুর্ব মেদিনীপুর: পুর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রামের কালীচরণপুরে একটি পুজো কমিটির বিরুদ্ধে স্কুল চলাকালীন স্কুলের মিড ডে মিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ দায়ের হল নন্দীগ্রাম থানায়।জানা যায়, নন্দীগ্রামের ১ নং ব্লকের কালীচরণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কালিচরণপুর দয়াময়ী উচ্চ মাধ্যমিক হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ, ওইস্কুলের পাশেই একটি অনুষ্ঠান হয়। সেখানে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা সহ ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিদিন প্রসাদ গ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে ওই পুজো কমিটি, প্রধান শিক্ষককে দাবি করেছিলেন, পুজোর চার দিন স্কুলে যেন মিড ডে মিল বন্ধ থাকে এবং মিড ডে মিলের খরচ যেন পুজা কমিটিকে দেওয়া হয়।পুজো কমিটির এই প্রস্তাবে রাজি হননি কালিচরণপুর দয়াময়ী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কাসেম আলী খান।কাশেম বাবুর অভিযোগ আজ দুপুরে পুজো কমিটির কয়েকজন এসে স্কুলে ঝামেলা করে এবং স্কুলে মিড ডে মিল রান্না চলাকালীন উনুনে জল ঢেলে দেন। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

অপরদিকে পুজো কমিটির সম্পাদক চন্দন দাস তিনি দাবি করেছেন, স্কুলের মাঠ এবং স্কুলের কয়েকটি রুম পুজোর কাজে লাগানোর জন্য ব্যবহার করার বিষয়ে আমরা স্কুলকে লিখিতভাবে জানিয়েছিলেন।এবং প্রধান শিক্ষককে আমাদের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের প্রসাদ গ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ করেছিলাম।স্কুলের পাশেই আমাদের গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর পূজো হয়। আমাদের গ্রামের ১৩০০ পরিবার নিরামিষ খাচ্ছেন, সেখানে স্কুলে পেঁয়াজ রসুন ব্যবহার করে মিড ডে মিলে রান্না বান্না চলছিল। আমাদের এলাকার ছেলেরা ওই স্কুলে পড়াশোনা করে।অপরদিকে পুজো কমিটির এক মহিলা সদস্য সংবাদমাধ্যমের কাছে ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধেমারধরেরও অভিযোগ তুলেছেন।

এদিকে স্কুলের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা! এ প্রসঙ্গে নন্দীগ্রাম ১ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ, তিনি বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।অপরদিকে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা কমিটির সদস্য সুদীপ দাস বলেন।স্কুলের সাথে পুজো কমিটির ঝামেলাকে রাজনৈতিক রঙ লাগানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *