ঝাড়গ্রামব্রেকিং নিউজ

নিজ বিবাহ আটকালো কোনে ! পরিবারের অমতে রুখে দাঁড়ালো কিশোরী

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম:সরকারি প্রকল্প, সচেতনতার প্রচারের পরেও কমছে না নাবালিকার বিয়ে। নাবালিকা এক স্কুল ছাত্রী নিজের বিয়ে নিজে রুখেই সাহসীকতার জন্য প্রশাসনের হাত থেকে পেল পুরস্কার। ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর ১ ব্লকের কেন্দুগাড়ি এলাকার ঘটনা।

পরিবারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে নিজের বিয়ে আটকানোয় নাবালিকাকে পুরস্কৃত করল ব্লক প্রশাসন। মঙ্গলবার সাহসী এই কন্যাশ্রীকে পুরস্কার দেওয়া হয়। ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর ১ নম্বর ব্লকের কেন্দুগাড়ি পঞ্চায়েত এলাকার এই নাবালিকাকে বিদ্যালয়ের ছাত্রীবাসে রেখে আগামী তিন বছর পড়াশোনাতে সাহায্যের সিদ্ধান্তও জানাল প্রশাসন। ঘটনায় জানা গেছে, কেন্দুগাড়ী অঞ্চলের ধানশোল আদিবাসী হাইস্কুলের ছাত্রী। বছর ১৫র এক নাবালিকার বিয়ে ঠিক করেছিল বাড়ির লোকজন। কিন্তু বাড়ির সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি ছাত্রীটি। পরে মেয়েটি বাড়ির সিদ্ধান্তের কথা স্কুল কর্তৃপক্ষের সামনে তুলে ধরে। বিষয়টি স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ব্লক প্রশাসনের গোচরে আনেন। পরে গোপীবল্লভপুর ১ নম্বর ব্লকের বিডিও দেবজ্যোতি পাত্র প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।পুলিশ ও ব্লক প্রশাসন মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে ধানশোল আদিবাসী হাইস্কুলের হোস্টেলে এনে ভর্তি করেন। আগামী তিন বছর তার হোস্টেল খরচ চালানোর সিদ্ধান্তও নিয়েছে নেয় ব্লক প্রশাসন। বিডিও দেবজ্যোতি পাত্র মেয়েটির হাতে এদিন তুলে দেন তার সাহসীকতার পুরস্কার। এবিষয়ে গোপীবল্লভপুর ১ নম্বর ব্লকের সোস্যাল ওয়েলফেয়ার অফিসার দ্বীপ গাঙ্গুলি জানান,ছাত্রীটি ব্যতিক্রমী। তাই আমরা আগামী দিনে বাল্য বিবাহ রুখতে মেয়েটিকেই প্রজেক্ট করবো। এবং সরকারি স্তরে পুরষ্কারের জন্য মনোনীতও করবো। প্রশ্ন হল, এত সরকারি প্রচার, কন্যাশ্রী প্রকল্পের পরেও কেন এমন ঘটনা ঘটছে ? কোথায় খামতি থাকছে ? প্রশাসন নীচুস্তরে সেই পদক্ষেপ নিতে পারছেন কি ? নইলে অভিভাবকেরা নাবালিকা বিয়ে দেওয়ার কথা ভাবতে পারতেন না বলেই মত অনেকের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *