নন্দকুমারে কুমরচক অঞ্চলে বিজেপি তৃণমূলের দ্বন্দ্বে আহত বিজেপি প্রতিনিধিদের পাশে শুভেন্দু অধিকারী I
![](https://newsbanglalive.in/wp-content/uploads/2022/01/IMG-20220114-WA0024-1024x466.jpg)
নিজস্ব প্রতিনিধি, নন্দকুমার : পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার বিধানসভার কুমরচক গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের কাজ ও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির প্রতিবাদ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করার অপরাধে গ্রাম পঞ্চায়েতের সাধারণ সভায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য গোপাল বেরার উপর লোহার রড, বাটাম দিয়ে মারধরের পাশাপাশি তাঁর পকেট থেকে নগদ পনেরো হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। এমন ঘটনার খবর পেয়ে আক্রান্ত বিজেপি সদস্য বাসুদেব বাবুর রাজারামপুরের বাসভবনে উপস্থিত হয়ে আহত গোপাল বেরার শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজ নিয়ে ওনাদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
জানা যায়, মঙ্গলবার কুমরচক অঞ্চলে সর্বদলের পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের সভা চলাকালীন বিজেপির দুই প্রতিনিধিকে ব্যাপকভাবে মারধর করে তৃণমূলের লোকজন, অঞ্চল অফিস থেকে মারতে মারতে বের করে বিজেপির গোপাল বেরাকে তাতে গুরুতর আহত হয় বিজেপির দুই প্রতিনিধি। যদিও এই ঘটনা অস্বীকার করে স্থানীয় এলাকার তৃনমূল নেতৃত্বরা। কুমরচক অঞ্চলের তৃণমূলের গ্রাম প্রধান সুধাংশু সামন্ত বলেন মিটিং হলের মধ্যে কোনো ঘটনা ঘটেনি, বাইরে কি হয়েছে জানিনা।
সেদিনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এ দিন আক্রান্ত গোপাল বেরা ও বাসুদেব মন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
তবে আক্রান্ত বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য গোপাল বেরা জানায়, শাসকদল সাধারণ মানুষকে ঠকাচ্ছে , কুমরচক গ্রাম পঞ্চায়েতে ,একশো দিনের কাজ , প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার দুর্নীতি থেকে শুরু করে একাধিক দুর্নীতির সাথে যুক্ত তাঁর বিরুদ্ধে আমরা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলাম, সেই কারনে মিটিং চলার সময় আক্রোশ বশত তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডারা আমার ওপর হামলা চালায়, মারধর করে গ্রাম পঞ্চায়েতের ভেতর থেকে বের করে দেয়।
এমন ঘটনার জেরে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিজেপি।
নন্দকুমার ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি প্রদীপ দে বলেন বিজেপির কালচার হল মিথ্যা অভিযোগ করা, অঞ্চলে বাজেট মিটিং ছিল যেখানে আমাদের ১২ জন সদস্য এবং ওদের মাত্র ৪ জন সদস্য ছিল। বিজেপির সদস্যরা ওই মিটিং গন্ডগল করার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ এর মাধ্যমে তাঁদের লোকজন ডাকে, গন্ডগোল করে মিটিং ভেস্তে দেওয়ার জন্য। কিন্তু আমাদের প্রধান সুধাংশু বাবু তাঁর দৃঢ়তার সঙ্গে গেটে তালা মেরে সুষ্ঠু ভাবে অঞ্চলে মিটিং করেন। তবে বিরোধী প্রতিনিধিদের মারধরের অভিযোগ মিথ্যা।
তবে বিজেপি সদস্যদের মারধরের ঘটনায় তৃণমূলের গ্রাম প্রধান সুধাংশু শেখর সামন্ত, ব্লক তৃণমূল সহ সভাপতি প্রদীপ দে, সহ মোট পাঁচ জনের বিরুদ্ধে নন্দকুমার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।