তমলুকনন্দকুমারপশ্চিমবঙ্গপূর্ব মেদিনীপুর

নন্দকুমারের বহিচবেড়িয়াতে তাম্রলিপ্ত রাজবাড়ীর ঠাকুরবাড়িতে শুরু হল রাস উৎসব

শ্রীকৃষ্ণ মাইতি, পূর্ব মেদিনীপুর: মেদিনীপুর অধুনা পূর্ব মেদিনীপুরের সবচেয়ে প্রাচীন নগরী তাম্রলিপ্ত বা তমলুক তমলুক শহরের পুরনো ইট পাজরে আজও শোনা যায় মহাভারত থেকে এ ভারতের কাহিনী। দেবী বর্গভীমা তমলুকের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। এক সময় দেবী বর্গভীমা পুজো ছাড়া তমলুকে অন্য দেব দেবীর পুজো হত না।

এমনকি দেবী দুর্গার আরাধনা হতো না এই তাম্রলিপ্ত নগর বা তমলুক শহরের। তাম্রলিপ্ত রাজবাড়ির পুজো হত তাম্রলিপ্ত রাজার গড় বহিচবেড়িয়ায়।

বর্তমানে তমলুক মহাকুমার নন্দকুমার থানার অন্তর্গত এই বহিচবেড়িয়া। বহিচবেড়িয়া গ্রামে এখনো তাম্রলিপ্ত রাজ পরিবারের পুজো হয়। সময়ের কাল দন্ডি বেয়ে এই পুজো হারিয়েছে জৌলুস। কিন্তু এখনও প্রাচীন রীতিনীতি বর্তমান।

বহিচবেড়িয়া রাজগড়ের ইতিহাস ঘাটলে উঠে আসে নানান চমকপ্রদ তথ্য। ঐতিহ্যবাহী রাজবংশের এই রাস অনুষ্ঠান সূচনা করে। এই রাজ উৎসব কার্তিক মাসের উত্থান একাদশীতে রেবতী নক্ষত্র তিথি মেনে এই রথ চলে।

এই রাসের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ঠাকুরকে মন্দির থেকে এনে এক বিশেষ বেদিতে পূজিত করা হয়। এখানে ৪২ টা পোহারি ঘট ও একটি মেইন ঘট মোট ৪৩ টা ঘট ও ৪৩ টা প্রদীপ জ্বালিয়ে বিশেষ যাগ যজ্ঞ করে পুজো করা হয়। এরপর ঠাকুরকে নিয়ে যাওয়া হয় এক বিশেষ পুকুর সেখানে নৌকোয় করে ঠাকুরকে সাত পাক ঘোরানো হয় যাকে নৌকা বিলাস বা কমলাকামিনী বলা হয়।

এরপর ঠাকুরকে নিয়ে যাওয়া হয় রথে এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য জেলার কোন জায়গাতে এই রথ রাতে চলেনা। এই রথ নিয়ে যাওয়া হয় মাসির বাড়ি সেখানে আট দিন থাকে। তারপর আবার পুনরায় নিজস্ব মন্দিরে ফিরে আসে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *