Breakingরাজনীতিশীর্ষ খবর

নন্দকুমারের গ্রেফতার হওয়া নেতার পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস বিরোধী দলনেতার, তীব্র কটাক্ষ অন্য রাজনৈতিক দলগুলির, গ্রেফতার করানো তৃণমূলের ষড়যন্ত্র দাবি পরিবারের লোকের, অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের

নিউজ বাংলা লাইভ : গত ১১ তারিখ নন্দকুমার এর শীতলপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এর বোর্ড গঠনের দিন গ্রেফতার করা হয় শেখ আব্দুল জব্বার কে যিনি CPI(M) এর জয়ী প্রার্থী ছিলেন।প্রসঙ্গত ওই শীতলপুর অঞ্চল গঠনে তৃণমূল ১১ টি সিপিএম পাঁচটি, বিজেপি পাঁচ, নির্দল দুটি আসন পায়।সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করার কথা তৃণমূলের, কিন্তু সিপিএম নির্দল এবং বিজেপি জোট বাঁধায় সম্মিলিত জোট গ্রাম পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করেছিল। এবং তারি মাঝে ওই প্রার্থীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরও হয় ওই দিন।

প্রতিবাদে পথে নামে CPI(M) এর নেতা কর্মীরা।জাতীয় সড়ক অবরোধ,বিডিওর কাছে ডেপুটেশন সহ থানা ঘেরাও কর্মসূচি করে তারা।রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পঞ্চায়েত সমিতি গঠনের দিন নন্দীগ্রাম থেকে দাবি করেছিলেন তিনি গ্রেফতার হওয়া প্রার্থীর সাথে থাকবেন।কেননা তারা “নো ভোট টু মমতা” করতে চান।অপরদিকে আব্দুল জব্বার এর বাড়ির লোক বিরোধী দলনেতার পাশে থাকা নিয়ে বলেন উনি যেন অবশ্যই পাশে থাকেন।তবে CPI(M) এর জেলা কমিটির সম্পাদক নিরঞ্জন সিহী কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধী দলনেতাকে।বলেন বিরোধী দলনেতা এই কথা বলে কিছু মানুষকে প্রভাবিত করতে চাইছেন।পাশাপাশি তৃণমূলকেও তীব্র কটাক্ষ করেন।সম্পাদক এবং গ্রেফতার হওয়া নেতার পরিবারের লোকের দাবি তৃণমূল ষড়যন্ত্র করে আব্দুল জব্বার কে পুলিশের সাথে হাত মিলিয়ে গ্রেফতার করিয়েছে, এলাকার তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার দে এই কাজ করিয়েছে।যদিও নন্দকুমার এর তৃণমূল বিধায়ক সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন এই অভিযোগ।তিনি বলেন এই অভিযোগ সঠিক নয়, এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার উদ্দেশ্যে পুলিশ প্রশাসন কাজ করেছে এখানে তৃণমূলের ভূমিকা কোথায়।গ্রেফতার হওয়া নেতার এখনো জামিন মেলেনি তবে তাকে নিয়ে রাজনীতির দড়ি টানাটানি নিয়ে উত্তাল রাজনীতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *