ব্রেকিং নিউজমালদা

ধার পরিশোধ করতে না পরে অবসাদে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা ।

নিজস্ব প্রতিনিধি,মালদা :  রহস্যজনক অবস্থায় শোবার ঘর থেকে গ্যাস বটলিং প্লান্টের এক কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ালো পুরাতন মালদা থানার আমতলা এলাকায়। শুক্রবার সকালে ওই যুবকের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতের পরিবারের অভিযোগ,  নারায়ণপুর এলাকার একটি গ্যাস বটলিং প্লান্ট সংস্থায় কাজ করে নিয়মিত বেতন পাচ্ছিলেন না ওই যুবক। এদিকে বাজারে বেশ কিছু টাকা ধার হয়ে যায় ওই যুবকের। পাওনাদারদের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে অবসাদে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে ওই যুবক। এই ঘটনায় নারায়ণপুর এলাকার ওই সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন মৃতের পরিবার । পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম শচীন দেব মন্ডল (২৬)। তার বাড়ি  মঙ্গলবাড়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের আমতলা এলাকায়। গত তিন বছর আগে স্থানীয় প্রমিলা মন্ডল নামে এক মহিলার সঙ্গে বিয়ে হয় শচীনের । পরিবারে বাবা, মা,  দাদা সকলকে নিয়ে থাকতেন ওই যুবক । ওই এলাকার একটি ইন্ডিয়ান অয়েল গ্যাস বটলিং প্লান্টের শ্রমিকের কাজ করতেন শচীন দেব মন্ডল।মৃত যুবকের দাদা মহাদেব মণ্ডল পুলিশকে অভিযোগ জানিয়েছেন,  হাড়ভাঙ্গা খাটুনি করলেও ওই সংস্থার তরফ থেকে ভাইকে নিয়মিত বেতন দেওয়া হতো না। তিন থেকে চার মাস পর পর বেতন মিলতো, তাও সম্পূর্ণ দেওয়া হতো না। কিন্তু তাতে সংসার চালানো নিয়ে চরম সমস্যার মধ্যে পড়েছিল ভাই শচীন । এরইমধ্যে সংসার চালাতে গিয়ে বাজারে অনেক ধারদেনা হয়ে যায়। পাওনাদার টাকা পাওয়ার জন্য নিয়মিত চাপ দিচ্ছিল । সব মিলিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে শচীন। এরপরই এদিন সকালে বাড়ির লোকেদের অলক্ষ্যে নিজের শোবার ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয় সে।মৃতের মা মনি মন্ডলের অভিযোগ, ওই গ্যাসের বটলিং প্লান্ট কাজ করেও নির্দিষ্ট বেতন না মেলার কারণেই হতাশ হয়ে পড়েছিলেন তাঁর ছেলে। এর জন্যই তাকে আত্মহত্যা করতে হয়েছে। এই ঘটনায় ওই সংস্থার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ পুলিশকে জানিয়েছেন মৃতের পরিবার।ওই যুবকের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুরাতন মালদা থানার পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *