জেলাপূর্ব মেদিনীপুরব্রেকিং নিউজমালদা

ধান বিক্রী না করেও চাষীদের মোবাইলে মেসেজ!দুর্নীতি নাকি প্রযুক্তিগত সমস্যা,তদন্তের নির্দেশ মহকুমা শাসকের

পার্থ ঝা , মালদা :: সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্রে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।বিহার থেকে কম দামে ধান কিনে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার বিভিন্ন সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্র গুলিতে বিক্রি চলছে অবাধে।এতে বঞ্চিত স্থানীয় কৃষকরা।চলছে দালাল রাজ।ধান না বিক্রী করেও চাষীদের মোবাইলে মেসেজ!প্রযুক্তিগত সমস্যা বলে সাফাই বিধায়ক তজমুল হোসেনের।যদিও দুর্নীতির কথা মেনে নিয়েছেন খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ কেরামুদ্দিন আহমেদ।তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন মহকুমা শাসক কল্লোল রায়।

জানা গেছে ধান বিক্রি করতে পারেননি অথচ মোবাইলে একের পর এক টাকা ঢোকার মেসেজ পেয়ে বিভ্রান্ত কৃষকরা।হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহেন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ মালেক জানান তুলসীহাটা কৃষক বাজারে ধান বিক্রি করতে গিয়ে বারবার গলা ধাক্কা খেয়েছেন দালালদের কাছে।এমনকি প্রতি কুইন্টালে ১০-১২ কেজি ধলতা না দিলে ধান নেওয়া যাবে না এমনও হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে।ধান বিক্রি না করেও তার মোবাইলে বারবার মেসেজ ঢুকছে।২৫ কুইন্টাল ধান বিক্রি করা হয়েছে।একাউন্টে ৪৯ হাজার টাকা ঢুকেছে। একবার নয়, ৪০ থেকে ৪৫ বার মেসেজ ঢুকেছে বলে অভিযোগ অথচ তিনি ধান বিক্রি করতে পারেননি।

যদিও এ সমস্ত অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন এলাকার শাসক দলের বিধায়ক তজমুল হোসেন।তিনি জানিয়েছেন প্রযুক্তিগত সমস্যার জন্য এই ভাবে মেসেজ ঢুকেছে।পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ কেরামুদ্দিন আহমেদ কার্যত মেনে নিয়েছেন এই দুর্নীতির কথা।

চাঁচল মহকুমা শাসক কল্লোল রায় বলেন অফিশিয়ালি কোনো অভিযোগ পাইনি, কিন্তু অভিযোগ শুনেছি,খাদ্য দপ্তর আধিকারিকদের তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।গোটা বিষয়টির উপর নজর রাখা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *