Breakingব্রেকিং নিউজশীর্ষ খবর

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরেই আমঘাটা কৃষ্ণনগর রেললাইনের উপর দিয়ে ছুটলো রেল ইঞ্জিন

নিউজ বাংলা লাইভ : অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরেই আমঘাটা কৃষ্ণনগর রেললাইনের উপর দিয়ে ছুটলো রেল ইঞ্জিন। জানা যায় এর আগে নবদ্বীপ ঘাট থেকে কৃষ্ণনগর হয়ে শান্তিপুর যাওয়ার একটি ন্যারোগেজ লাইন ছিল যা ২০১০ সালের পর বন্ধ হয়ে যায়। ন্যারোগেজ লাইনটিকে ব্রডগেজ করার জন্য সেই ট্রেন পাকাপাকিভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর কেটে গিয়েছে দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর। কখনো জমি জট কিংবা অন্য কোন কারণবশত চালু করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি ব্রডগেজ ট্রেন। দীর্ঘদিন ধরেই কৃষ্ণনগর থেকে আমঘাটা পর্যন্ত রেললাইন পাতা ছিল। কিন্তু বছরের পর বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও সেই রেললাইন থেকে ছোটেনি ট্রেন। অবশেষে ২০২৩ সালে ফের একবার ছুটতে দেখা গেল ট্রেন কৃষ্ণনগর নবদ্বীপ লাইনে। শনিবার বিকেলে কৃষ্ণনগর আমঘাটা লাইনে ছুটতে দেখা গেল ডিজেল ইঞ্জিন। যদিও অসমাপ্ত নবদ্বীপ ঘাট রেলপথের বাকি থাকা কাজ কবে সমাপ্ত হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে এখনও। জমি জোটে বন্ধ হওয়ার আগে ওই রেলপথে যতটুকু কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে সেই অংশেই এদিন বিকেলে গড়ালো ডিজেল ইঞ্জিনের চাকা। প্রায় ১৩ বছর পর কৃষ্ণনগর থেকে নবদ্বীপ ঘাটের লাইনে ট্রেন চলতে থেকে খুশি স্থানীয় এলাকার মানুষজনেরাও। দীর্ঘ তেরো বছর পর আবার এই দৃশ্য দেখতেই অনেকেই ক্যামেরা বন্দী করে রাখলেন সেই স্মৃতিকে। দীর্ঘদিন ওই লাইন পড়ে থাকার পর অবশেষে বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই শুরু হয়েছে জোড় কদমে সংস্কারের কাজ। রেল লাইনের পাশেই রয়েছে নবদ্বীপ ঘাট কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়ক, ঠিক তেমনি রেললাইনের অপরপ্রান্তে শুরু হয়েছে আরও একটি ঢালাই রাস্তার কাজ। ২০১০ সালে পূর্ব রেলের নবদ্বীপ ঘাট শান্তিপুর ন্যারোগেজ লাইনটিকে ব্রডগেজ এ রূপান্তর করার কাজ শুরু হয়েছিল তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে। রেল শুক্রবার সব খবর অনুযায়ী ওই বছরই ১৭ই জানুয়ারি সেই ন্যারোগেজ লাইনে ট্রেন ছুটেছিল শেষবারের মতো। মোট ২৯ কিলোমিটার এ ন্যারোগেজ লাইনটি প্রথম ধাপে শান্তিপুর থেকে কৃষ্ণনগর জংশন পর্যন্ত বড় লাইনে রূপান্তর হয়। এরপর শুরু হয় কৃষ্ণনগর থেকে নবদ্বীপ ঘাট পর্যন্ত ন্যারোগেজ লাইনটিকে ব্রডগেজ লাইনে পরিবর্তন করার কাজ। তবে কৃষ্ণনগর থেকে নবদ্বীপ ব্লকের আমঘাটা পর্যন্ত নির্বিঘ্নে ব্রডগেজ লাইনের কাজ সম্পন্ন হয়ে যায়। এরপরে বেশ কিছু জমি জোটের কারণে আমঘাটা থেকে নবদ্বীপ ঘাট পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় চার কিলোমিটার অংশে এখনো পর্যন্ত রেললাইন পাতা সম্ভব হয়ে ওঠেনি বলেই খবর রেলসূত্র মারফত।তবে স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন

এই রেলপথ পুনরায় চালু হলে উপকৃত হবেন নিত্য যাত্রী থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা সকলেই। তারা প্রত্যেকেই চান এই রেলপথ পুনরায় চালু হোক। শনিবার সকালের দিকে নতুন রেল প্যানেল বাহী একটি বিরাট কৃষ্ণনগর থেকে আমঘাটার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। দীর্ঘদিন ধরে ওই ১২ কিলোমিটার পথে রেললাইন পড়ে থাকার কারণে সেটি খারাপ হয়ে গিয়েছে এবং সেই কারণেই পুনরায় নতুন করে রেল প্যানেল বসবে আমঘাটা পর্যন্ত, এমনটাই জানা যাচ্ছে রেলের তরফ থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *