জেলাপূর্ব মেদিনীপুরবিনোদনময়না

থালার সাইজের বাতাসা,বলের মতন বড়ো কদমা ! ময়না মেলার বিশেষ আকর্ষণ

নিউজ বাংলা টুডে ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রাচীনতম মেলা ময়না রাস মেলা। ময়নার রাসমেলা মানেই বিখ্যাত কদমা মিষ্টি। টেনিস বলের সাইজ থেকে ফুটবলের সাইজ পর্যন্ত কদমা মিষ্টি পাওয়া যায় ময়নার রাস মেলায়। শুধুমাত্র চিনি থেকে তৈরি হয় এই কদমা মিষ্টি। ময়নার রাস মেলায় দীর্ঘ ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মিষ্টির দোকান নিয়ে বসেন ভানুমোহন দাসসহ বিভিন্ন মিষ্টি দোকানদারেরা। মেলায় এক একটি মিষ্টি দোকানদার গড়ে ৩৫ থেকে ৪০ কুইন্টাল চিনির কদমা তৈরি করে থাকেন।

চিনি কে জলের সঙ্গে ফুটিয়ে তৈরি হয় চিনির গাঢ় মিশ্রণ। চিনির মিশ্রণে দেওয়া হয় মাত্র দুই চা চামচ লেবুর রস। তারপর আঁচ থেকে নামিয়ে চিনির রস একটি লম্বা পাত্রের মধ্যে ঢালা হয়। মিশ্রণটি ঠান্ডা হয়ে এলে একটি মন্ড আকারে পরিণত হয়। তারপর ওই মন্ডটি বারবার সুতোর মতো টানাটানি করে ধবধবে সাদা করা হয়। সম্পূর্ণ সাদা হয়ে গেলে। একটি পটাতনের উপর ফেলে ৩২ টি ভাঁজ করা হয় পুরো মন্ডটিকে। তারপর সেখান থেকেই নানা সাইজের কদমা তৈরি করা হয়।

কদমা তৈরির কারিগর জানান, চিনির মিশ্রণটি গাঢ় না হলে কদমা তৈরি করা যায় না। ৪৬২ বছরের প্রাচীণ ময়নার রাসমেলার কদমা মিষ্টি খুব জনপ্রিয়। প্রতিবছর ব্রাশের সময় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি অন্যান্য জেলার লোকজন মূলত কদমা মিষ্টির টানে ময়নার রাসমেলায় ভিড় করে। পর পর শেষ দু’বছর করোনা অতিমারির প্রভাবে রাসের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান হলেও রাসমেলা বন্ধ ছিল। এ বছর করো না অতিমারের প্রকোপ নেই তাই রাসমেলায় দোকান বাঁধার তোড়জোড় বিভিন্ন দোকানদারদের। ইতিমধ্যেই ময়নার রাস মেলায় বিভিন্ন মিষ্টি দোকানদারদের ব্যস্ততা কদমা তৈরি করতে। এক এক দোকানে চার পাঁচ জন করে দক্ষ কারিগর তৈরি করছে রাস মেলার জনপ্রিয় মিষ্টি কদমা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *