তমলুকপূর্ব মেদিনীপুরশীর্ষ খবর

তমলুক হোম থেকে বাড়ি ফিরলেন মহারাষ্ট্রের তরুণী

নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক: মহারাষ্ট্রের এক তরুণীর ঠাঁই হয়েছিল তমলুকের আবাসিক হোমে। প্রায় সাতবছর পর নিজের বাড়িতে ফিরছেন ওই তরুণী। বৃহস্পতিবার তমলুকের নিমতৌড়ির আবাসিক হোম থেকে মীরা নামের ওই তরুণী নিজের মায়ের সঙ্গে মহারাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

হোম সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রের পারভনী জেলার বাসিন্দা মীরার বিয়ে হয়েছিল মাত্র ১৩ বছর বয়সে। তাঁর এক ছেলে এক মেয়ে হয়। সংসার চালাতে মীরা শ্রমিকের কাজ করতেন। এক মহিলা তাঁকে আরও বেশি টাকা রোজগারের প্রলোভন দেখিয়ে ভিন্‌ রাজ্যে কাজে যাওয়ার কথা বলেছিল। ২০১৬ সালে ওই মহিলার সাথে ট্রেনে আসার পথেই মেচেদা স্টেশনে নেমে পড়েছিলেন মীরা। এরপর রাস্তার একা হাঁটতে থাকা মীরাকে তমলুক থানার রামতার হাট এলাকা থেকে উদ্ধার করেছিল টহলরত পুলিশ। আদালতের নির্দেশে নিমতৌড়ির আবাসিক হোমে ঠাই হয়েছিল মীরার। হোমের আবাসিক হিসাবে থাকা মীরার পরিবারের ঠিকানা জানার চেষ্টা চলে।

হোমে সেলাইয়ের কাজ ছাড়াও মীরা ফুটবল খেলতেন। স্পেশাল অলিম্পিকে জাতীয় স্তরের ফুটবল প্রতিযোগিতায় বাংলার প্রতিনিধিত্ব করেন। প্রতিযোগিতায় ব্রোঞ্জ জিতেন তাঁরা। ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবসে রাজ্য সরকার নীরাকে সংবর্ধনা দেয়। হোমে কাউন্সিলিং করে শেষে মীরার পরিচয় জানা যায়। এরপরেই মীরাকে বাড়ি ফেরানোর জন্য মহারাষ্ট্র পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন হোম কর্তৃপক্ষ।

হোমের পরিচালন সমিতির সম্পাদক যোগেশ সামন্ত বলেন, “মীরাকে পুলিশ উদ্ধার করে যখন হোমে নিয়ে আসে তখন শারীরিক এবং মানসিকভাবে বিধস্ত ছিলেন। আমাদের এখানে চিকিৎসায় সুস্থ হওয়ার পরে মীরা হাতের কাজ ও খেলাধূলা করতেন। পরিবারের খোঁজ পাওয়ার পর বাড়ি ফেরাতে মহারাষ্ট্র পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছিল।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *