তমলুকে অঞ্চল অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় ১৪ জনের জামিন মঞ্জুর তমলুক কোর্টের, শুভেন্দুর থানা ঘেরাও ঠেকাতে জামিনযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি কটাক্ষ বিজেপির
তমলুকে অঞ্চল অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় ১৪ জনের জামিন মঞ্জুর তমলুক কোর্টের, শুভেন্দুর থানা ঘেরাও ঠেকাতে জামিনযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি কটাক্ষ বিজেপির
নিউজ বাংলা লাইভ : গত মঙ্গলবার তমলুক ব্লকের উত্তর সোনামুই গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল অফিস ভাঙচুর করে তৃণমূল এমন অভিযোগ ছিল বিজেপির,১৪ জনের বিরুদ্ধে তমলুক থানায় এফ আই আর দায়ের করা হয় বিজেপির তরফে, ভাঙচুরের পরেই গত বুধবার অঞ্চল অফিসের সামনে প্রতিবাদ সভায় পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন বিরোধী দলনেতা। তিন দিনের মধ্যে না গ্রেপ্তার করতে পারলে থানা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দেন।
তমলুক থানার পুলিশ অঞ্চল অফিসের সি সি টিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিতকরণ করে বৃহস্পতিবার উত্তর সোনামুই এলাকা থেকে চারজনকে গ্রেফতার করে তমলুক থানার পুলিশ। সেখ জাকির হোসেন( বিরোধী দলনেতা উত্তর সোনামুই গ্রাম পঞ্চায়েত), সেখ আবুল কালাম, শুভ প্রসন্ন মান্না এবং জগদীশ জানা। আর বাকি ১০ জন কোর্টে আত্মসমর্পন করে। দুপুর একটা নাগাদ তমলুক কোর্ট অভিযুক্তদের পেশ করা হয়। বিকেল ৫ টা নাগাদ নিম্ন আদালতের রায়ে প্রত্যেকেই জামিনে মুক্ত হন।বাইরে বেরোতেই প্রত্যেকের গলায় মালা পড়িয়ে দেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
তারপরেই মাঠে নামে বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ বিরোধী দলনেতার হুশিয়ারির ফলে আইওয়াশ করার জন্যে পুলিশ এদেরকে গ্রেফতার করে, আসলে পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে।জামিনযোগ্য ধারায় মামলা করেছে যাতে অভিযুক্তরা খুব সহজেই মুক্তি পেয়ে যায়। এই ব্যাপারনিয়ে হাই কোর্টে যাবেন বলে জানান স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব, অপরদিকে শাসকদল তৃণমূল বিজেপির দাবি সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েচেন। জেলা চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মাইতি জানান পুলিস যদি দলদাস হতো তাহলে কাউকেই গ্রেফতার করতোনা। সবাই আন্টিসিপেটরি বেল নিয়ে নিতো। অভিযুক্তদের জামিন নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।