স্বাস্থ্যহাওড়া

ডেঙ্গুর ঝুঁকি নিয়ে চলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়! ক্ষোভ এলাকাবাসীর

নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: হাওড়া শহর ডেঙ্গির আতুরঘর হয়ে উঠেছে এমনটা অভিযোগ বারেবারে উঠে এসেছে বিরোধী দলের থেকে। পাশাপাশি হাওড়া শহরে ডেঙ্গির প্রকোপ কমানো নিয়ে প্রশাসনের উদ্যোগ পর্যাপ্ত নয় বলেও অভিযোগ করে আসছে বিরোধী দলগুলো। যদিও ডেঙ্গি সচেতনতা নিয়ে একাধিক উপায়ে সর্বাত্মক প্রচার অভিযানের দাবি পৌর নিগম জানালেও খোদ পৌর নিগম এলাকার মধ্যে সরকারী স্কুলের বেহাল দশা চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে স্কুলের পড়তে আসা পড়ুয়া ও শিক্ষিকাদের। হাওড়ার বাকসাড়া এলাকার হাওড়া হোম প্রাইমারি স্কুলে বিয়াল্লিশ জন খুদে পড়ুয়া ও দু জন শিক্ষিকা নিয়ে চলছে এই সরকারী স্কুল।

শিক্ষিকাদের অভিযোগ স্কুলের ভিতর পয়প্রণালী ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছে। এছাড়াও মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে স্কুলের শ্রেণীকক্ষে জ্বালানো হচ্ছে ডিম রাখার খোলা। পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তায় অভিভাবক থেকে পরিবেশবিদরা। একদিকে স্কুলের পেছনে জমে রয়েছে নোংরা আবর্জনা সাথে ভীষণ মশার উপদ্রব। চারিদিকে যে হারে ডেঙ্গি হয়ে চলেছে তার হাত থেকে নিজেদের ও পড়ুয়াদের বাঁচাতে স্কুলের শিক্ষিকারা শ্রেণীকক্ষে জ্বালাছেন ডিম রাখার খোলা। সেই ধোঁওয়া নিঃশ্বাসের মাধ্যমে শরীরের ভিতর নিয়েই পড়াশোনা করছে খুদে পড়ুয়ারা। যদিও বিষয়টি নিয়ে ওই সরকারী স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি যথেষ্ট বিরক্তি প্রকাশ করে স্কুলের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে। যদিও স্কুলের অভিভাকরা এই বিষয়ে বিশেষ কোনো মন্তব্য করতে চান নি। তবে স্কুলের ভিতর ও তাঁর চারপাশের যে চিত্র তা রীতিমতো উদ্বেগের তা এক কথায় স্বীকার করে নেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা তৃপ্তি মিত্র অভিযোগ করেন স্কুলের ভিতর নিকাশী ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। এছাড়াও স্কুলের আশেপাশ জঙ্গলে ভরে গেছে।পরিস্থিতি এতটাই খারাপ আশেপাশের রাস্তা উঁচু হয়ে যাওয়াতে বৃষ্টির জল ভেতরে ঢুকলে সেটা বেরোনোর উপায় থাকে না। জল ওভাবেই জমে থাকে।এই অবস্থায় মশা ডিম পারছে ওই জমা জলে। সেই মশা স্কুলের ভেতরেও প্রবেশ করছে। তিনি বলেন এই মশাদের থেকে বাঁচতে কখনও ডিমের খোলা, কখনও মশা মারার ধুপ জ্বালাতে হচ্ছে। এটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর জেনেও করতে হচ্ছে। এছাড়াও মশার থেকে বাঁচার অন্য কোনো উপায় তাঁদের কাছে নেই। তাঁদের পরিস্থিতির কথা মৌখিক কর্তৃপক্ষকে জানালেও লিখিতভাবে জানানো হয় নি কিছু। এই পরিস্থিতি লকডাউন ওঠার পর থেকে আরও বেড়েছে বলেই তিনি দাবি করেন। তিনি আরও জানান বলার অনেক কিছু থাকলেও অনেক সময় তা বলা সম্ভব হয় না।যদিও স্কুলের বাইরের মতো ভেতরেও নিকাশীর অবস্থা একেবারেই বেহাল। স্কুলের বাথরুমের জল পাইপ ফেটে নেমে আসছে। আর তা স্কুলের ভেতরের নর্দমায় পড়লেও সেখান থেকে বেরোনোর রাস্তা বন্ধ। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে এভাবে চূড়ান্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কতটা সুরক্ষিত থেকে পড়াশোনা চালাতে সক্ষম হবে খুদে পড়ুয়ারা। পড়ুয়াদের কেউ অসুস্থ্য হলে তাঁর দায় কার উপরে বর্তাবে এই প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই কারোর কাছেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *