দেশব্রেকিং নিউজ

ঠিক যেনো বানর কিংবা বনমানুষ! কীভাবে এমন দশা হলো বালকের?

নিউজ বাংলা টুডে : ধরুন একদিন রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন হঠাৎই সামনে দেখলেন এক অদ্ভুত দেখতে মানুষ। ঠিক যেন বানর কিংবা বনমানুষ! ভয়ে আঁতকে উঠে দূরে পালিয়ে যাবেন? নাকি স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করবেন? এখন হয়তো আপনিও ভাবছেন এমন আবার সম্ভব নাকি? যদি আপনার মনেও জাগে এই একই প্রশ্ন, তবে উত্তরটা হবে সম্ভব। বাস্তবে ঠিক এমন দেখতে এক বালক রয়েছে ভারতের মধ্যপ্রদেশেই। আমাদেরই মতো রক্ত মাংসের গড়া ওই বালকের চেহারা ভর্তি লোম। প্রথম দেখায় তাকে বানর,বনমানুষ বা হনুমান বলে ভুল করে অনেকেই। হয় ভয়ে নয়তো ঘৃণায় পালিয়ে যেতে যায় দূরে। আবার কারও কারও কাছে সে হয়ে ওঠে কেবলই হাসি খোরাক। বালকটির জন্য মধ্যপ্রদেশের এক গরিব পরিবারে। নাম লালিত পাটিদার। ছেলেবেলা থেকেই রোগে আক্রান্ত হয়ে সমাজের কাছে চেয়ে যেন এক অন্য গ্রহের জীব! কেউ ভয়ে দৌড়ে পালায় আবার কেউ বানায় হাসির খোরাক। তাই মানুষই কষ্ট মাথায় নিয়েই বড় হতে হয় ললিতকে। আসলে জন্ম থেকেই সে এমন। জন্মের সময় তাকে দেখে ভয় পেয়েছিলেন খোদ চিকিৎসও। তবে পরিবার সহ গোটা চিকিৎসক মহল খুঁজে পাননি বালকের এমন মুখশ্রীর কারণ । যেহেতু পরিবারের সকলেই স্বাভাবিক তাই ক্রমশই ঘটনা পরিণত হয় ধাঁধায়।

ধীরে ধীরে বড়ো হতে থাকে লালিত। গ্রামের মানুষের কাছে সে হয়ে ওঠে অদ্ভুত এক জীব। বন্ধুরা ‘বানর’ বলে রাগাতে থাকে। অসয্যকর মানসিক অশান্তি লালিতকে তাড়া করে বেড়াতে থাকে সর্বক্ষণ। এভাবেই কষ্ট সয়ে দিন কাটতে থাকে লালিত ও তার পরিবারের। তবে সময়ের সাথে বদলাতে থাকে বাস্তব চিত্র। ধীরে ধীরে এলাকাবাসী উপলক্ষে করতে থাকে তার মানসিক যন্ত্রণা। আর পাঁচজনের মতো সেও যে একজন মানুষ তা অনুভব করে সকলেই। এমনকি গ্রামের অনেকেই তাকে হনুমানজির রূপ বলেন। ভয় কাটিয়ে বন্ধুত্ব করতে আসে সমবয়সে অন্যান্যরা। এর মধ্যে অনেকেই বলে, প্রথমে অন্যদের মত ভয় লাগতো তাদেরও, তবে এখন আর লাগেনা। প্রথম দেখায় চমকে গেলেও এখন তারা অনেক ভালো বন্ধু। এক ইন্টারভিউতে লালিত তার ব্যক্তিগত সমস্যার কথার ব্যাখ্যা দেয় নিজেই। খাবার খেতে,শ্বাস নিতে,এমনকি চোখে-মুখে অবিরত লোমের খোঁচায় কষ্ট পেতে হয় সারাক্ষন এমনটাই বলে সে। যদিও লালিত খুব আত্ম বিশ্বাসের সাথেই মিডিয়ার সন্মুখে আনে নিজেকে। বড়ো হয়ে একজন ইউটিউবার হতে চায় সে। জানা যায়, ২১বছর বয়সে এক সার্জারির দ্বারা স্বাভাবিক মুখশ্রী ফিরে পাবে লালিত। চিকিৎসকের এহেনো আশ্বাসে খুশি লালিত সহ গোটা পরিবার। কোনো একদিন হয়তো হবে স্বপ্নপূরণ, স্বাবাভিক হবে সব কিছু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *